দাম বাড়বে এবং কমবে যেসব পণ্য ও সেবার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন, সেসব পণ্য বা সেবায় মূল্য বাড়বে। আবার কিছু কিছু পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে কিছু পণ্যের দাম কমতে পারে। বৃহষ্পতিবার বিকেল তিন টায় জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন তিনি।
বাজেট অনুযায়ী যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:
সিগারেট ও তামাক জাতীয় পণ্য, তরল নিকোটিন, বল পয়েন্ট ও বিভিন্ন কলম, মোবাইল সেট, স্বর্ণ, দামী গাড়ি ও একাধিক গাড়ির সারচার্জ, ফ্লাট, আমদানি করা সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডার, সিমেন্ট, সাধারণ ইট, কাজুবাদাম, বাসমতি চাল, আমদানী করা ফল (খেজুর), বাই সাইকেল, প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমযুক্ত সানগ্লাস, লিফট ও স্পিপ হোস্ট, এক্সেলেটার, আমদানি করা মোটরসাইকেল, সিরিষ কাগজ, রেফ্রিজারেটর, জমি নিবন্ধন, বিদেশ ভ্রমণ কর, অভ্যন্তরীণ বিমান টিকেট, বিদেশী কসমেটিকস ও বিয়ের সাজ-সজ্জা, ফেসওয়াশ, সফটওয়্যার, এলপিজি সিলিন্ডার, প্লাস্টিক পণ্য, প্লাস্টিকের তৈরি সকল ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালী সামগ্রী, হাইজেনিক ও টয়লেট সামগ্রীসহ থালাবাসন, অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কিচেন বা অন্যান্য গৃহস্থালি তৈজসপত্র, স্যানিটারিওয়্যার এবং যন্ত্রাংশ, টিস্যু: কিচেন টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল বা পকেট টিস্যু, হ্যান্ড টাওয়েল/পেপার টাওয়েল/ক্লিনিকাল বেড শিট, বিভিন্ন ধরনের আঠা, বিদেশী টাইলস, বিদেশী স্যাণ্ডউইচ প্যানেল, মাইক্রোওভেন, পলিপ্রপাইলিং ফিল্ম, অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র । এছাড়াও প্রিন্টার, স্ক্যানার, রাউটার, ইয়ার ফোন, পেনড্রাইভ, এসএসডি কার্ড, সিসিটিভি মনিটর, প্রজেক্টর, ডিজিটাল ওয়াচ, ইলেকট্রিক প্যানেল, প্রসেসড ফ্রুটস, টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড, টুনা-স্যালমন জাতীয় আমদানি করা মাছের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেজন্য এসব পণ্যের দাম বাড়বে।
দাম কমছে যেসব পণ্যের :
ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ওষুধ, মিষ্টি, হাতে তৈরি বিস্কুট ও কেক, মাংস ও মাংসজাত পণ্য, এলইডি বাল্ভ, দেশী সাবান ও স্যাম্পু, অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, পশু খাদ্য, কৃষিতে ব্যবহৃত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ড্রায়ার, সকল প্রকার স্প্রেয়ার মেশিন, পটেটো প্লান্টার, আমদানিকৃত সকল ধরনের কন্টেইনার, পানি প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ, উড়োজাহাজ লিজ নেয়া,
এছাড়া ব্লেন্ডার, জুসার, প্রেশার কুকারের মতো গৃহস্থালি সরঞ্জাম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা আরও দুই বছর (২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বহাল থাকবে। একই সুবিধা পাবে ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন উৎপাদনকারী কারখানা। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার পণ্য উৎপাদনে অব্যাহতি সুবিধা তিন বছর (২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে।
রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনে এখনকার ৫ শতাংশের অধিক ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ এক বছর বাড়বে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের কাঁচামাল আমদানিতেও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও এক বছর থাকবে। সাবান ও শ্যাম্পুর দুটি কাঁচামালে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা এক বছর বহাল রাখা হচ্ছে। এছাড়া বিলাসবহুল পণ্য, অভিজাত বিদেশি পোশাক , এছাড়া স্প্রেয়ার মেশিন, কীটনাশক, আমদানিকৃত কৃষি যন্ত্রপাতি, আমদানিকৃত মাছ, পোল্ট্রি খাদ্য, স্প্রে মেশিনের ওপর ভ্যাট ও ট্যক্স একই রাখার সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। যার ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।