নেত্রকোনার পূর্বধলায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার দপ্তরী শফিকুল ইসলাম খান (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ইসলাম খান উপজেলার ডোলকর গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দপ্তরী।

এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বুধবার (৩১ মে) শফিকুল ইসলাম খানকে আসামী করে পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর বিকার ৪টার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পর দপ্তরী শফিকুল ইসলাম খান ওই ছাত্রীকে কাজের কথা বলে অপেক্ষা করতে বলে। ততক্ষণে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা চলে যায়। পরে দপ্তরী ওই ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণে করে এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।

কয়েকমাস পর পরিবারের লোকজন ছাত্রীটির শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানায় সে ৩২ সপ্তাহের গর্ববর্তী। পরে ছাত্রীটির মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মাদ্রাসার দপ্তরী শফিকুল ইসলাম খান দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে।

পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুর ইসলাম জানান, পূর্বধলা উপজেলার একটি মাদ্রাসার মেয়ে গর্ববর্তী হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলের ওয়ান স্টপ সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখান থেকে খবর পেয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে আসামীকে রাতেই গ্রেপ্তার করি এবং এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, একটি চক্র মীমাংসার কথা বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মীমাংসা না হওয়ায় দীর্ঘ সময় পর মামলা দায়ের করা হয়েছে।