×

মুক্তচিন্তা

তামাক নয়, খাদ্য ফলান : বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ১২:৪৮ এএম

তামাক নয়, খাদ্য ফলান : বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩

আজ ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। ১৯৮৭ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৩ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- ‘ডব হববফ ভড়ড়ফ : হড়ঃ ঃড়নধপপড়’ বাংলা ভাবানুবাদ করা হয়েছে- ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান।’ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, জলবায়ু পরিবর্তন, দ্রুত নগরায়ণ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে এ বছরের প্রতিপাদ্যটি যথার্থ। কারণ ‘খাদ্যদ্রব্য’ যে কোনো সময়ে জীবন বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেন এটি দুঃপ্রাপ্য হতে চলেছে। টাকা, ডলার, পাউন্ড পকেটে নিয়ে ঘুরতে হবে, খাদ্য মিলবে না! হতে পারে এমন দিন আসন্ন। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম এবং কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়। ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। এছাড়া চা এবং ছাগল উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ। আম উৎপাদনে সপ্তম এবং মোট ফল উৎপাদনে ২৮তম দেশ বাংলাদেশ। অনেকের কাছে তথ্যগুলো অজানা হতে পারে, তবে সত্যি হচ্ছে- বাংলাদেশের মাটি, সোনার চেয়েও খাঁটি। এদেশের আবহাওয়া এবং উর্বর মাটিতে কৃষক সোনা ফলায়। তারপরও বিপুল অর্থ ব্যয়ে আমাদের অনেক কৃষি পণ্য সামগ্রী আমদানি করতে হয়। তাই খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের দেশীয় উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। এ পথে আবর্জনা পরিষ্কার করাও বাঞ্ছনীয়। ‘আবর্জনা’ রূপক অর্থে ব্যবহৃত হলেও প্রকৃতপক্ষে, কৃষিজ উৎপাদনে কিছু ক্ষতিকর চাষাবাদকে বোঝানো হয়েছে। ‘তামাক’ এই আবর্জনার মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে দেশে মোট আবাদযোগ্য জমি রয়েছে ৮৮ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর। স্বাধীনতা-পরবর্তী এই অনেক অনাবাদি পতিত জমিকৃষি উৎপাদনের আওতায় এলেও জনসংখ্যার আধিক্য, দ্রুত এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবসহ নানাবিধ কারণে তা প্রকৃতপক্ষে কমে গেছে। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনের তুলনায় আবাদি জমি অনেক কম। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যের অভাব অদূর ভবিষ্যতেই একটি বড় সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। তাই সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। যা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে খাদ্য সংকট তৈরি করতে পারে। তামাক চাষ মাটির উর্ব্বরতা শক্তি হ্রাস করে যেটা সর্বজন স্বীকৃত। এমনকি কৃষকও সেটা জানে। তামাক চাষের কারণে খাদ্যশস্য চাষের জমি কমে যাচ্ছে। দেখা যায়, দেশের যেসব জেলায় তামাক চাষ হয় সেখানে পুষ্টিকর খাদ্য সংকট রয়েছে। পরিবেশ, প্রাণিকুলেও তামাক চাষের বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তামাক পোড়ানোর ফলে বাংলাদেশে ৩০ শতাংশ বন উজাড় হচ্ছে। পার্বত্য এলাকায় তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাত কারণে বনভূমি উজাড় হচ্ছে। শুধু তামাক প্রক্রিয়াজাত করতে প্রতি বছর ২৯ লাখ ৩২ হাজার গাছ পোড়ানো হয়। এক একর জমিতে যে পরিমাণ তামাক উৎপন্ন হয় এটি শুকানোর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৫ টন কাঠ। উপরন্তু তামাক চাষে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক জীববৈচিত্র্য, প্রাণীচক্রের ক্ষতিসাধন করেছে। তামাক চাষপ্রবণ এলাকায় মানুষের মধ্যে বিশেষত গর্ভবতীদের নানাবিধ স্বাস্থ্যগত সমস্যা, প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গ সন্তান জন্ম দেয়। ওইসব এলাকায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী বেশি হয়ে থাকে। কারণ তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নারী, শিশুরা জড়িত থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ১৯৭০ সাল থেকে তামাকের কারণে বিশ্বব্যাপী (গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে) আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন হেক্টর বন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যা ২০ শতাংশ বার্ষিক গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির প্রধান কারণ! এত ভয়াবহতার পরও তামাক চাষ লাভজনক এবং তামাককে অর্থকরী ফসল হিসেবে জাহির করার প্রবণতা সব সময় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আদতে তামাক চাষ কোম্পানির জন্য লাভজনক, কৃষকের জন্য নয়। যদি কৃষকের জন্য তামাক চাষ লাভজনকই হতো তাহলে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল, কুষ্টিয়া, বান্দরবানসহ তামাক চাষপ্রবণ এলাকাগুলোতে দরিদ্র মানুষ থাকত না। এসব জেলা অনুন্নত থাকত না। তামাক কোম্পানিগুলো কৃষকদের লোভনীয় ফাঁদে ফেলে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। কারণ ‘তামাক’ তাদের ব্যবসার প্রধান কাঁচামাল। যে কোনো উপায়ে ব্যবসার কাঁচামালের জোগান নিশ্চিত করতে চাইবে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি। আমার, আপনার কিংবা রাষ্ট্রের কী ক্ষতি সেটা তাদের মাথাব্যথার কারণ নয়। তামাকের ক্ষতি আমাদের মাথাব্যথা। তাই কৃষকদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং বিকল্প ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করার মাধ্যমে তামাক চাষ হতে ফিরিয়ে আনতে আশু পদক্ষেপ নিতে হবে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে আপিল বিভাগ থেকে নির্দেশনা রয়েছে, সেটা অনুসরণ জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা-১২তে তামাক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে, বিশেষত তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে একটি নীতি প্রণয়নের নির্দেশনা রয়েছে। যতদূর জানা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে নীতিটি চূড়ান্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশে তামাক চাষ নির্মূল অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কারণ আমাদের খাদ্য সংকট প্রতিরোধ এবং তামাকের করাল গ্রাস থেকে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তামাকমুক্ত করতে হবে দেশ। যে কথাটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন। তিনি ২০১৬ সালে ‘সাউথ এশিয়ান স্পিকার্স সামিট’-এ ঘোষণায় বলেন, ‘আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে চাই।’ তার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেখি, প্রধানমন্ত্রী কোনো ঘোষণা, অঙ্গীকার, প্রত্যয় ব্যক্ত করলে সেটার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সহযোগী দপ্তর, বিভাগ সবাই ত্বরিৎ পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু তামাক ও মাদকের মতো জাতীয় সমস্যার ক্ষেত্রে এক প্রকার অনীহা কিংবা দায়িত্ব এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখা যায়। যা অনাকাক্সিক্ষত। তামাক নিয়ন্ত্রণ শুধু এককভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, এক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্র থেকে কাজ করতে হবে। তবেই এই সমন্বিত কাজগুলো ফলপ্রসূ হতে পারে। এলক্ষ্যে কিছু বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। যেমন- দেশে তামাক ব্যবহার নির্মূল তথা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ প্রণয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে আইনটি যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। আইনের দুর্বলতা এবং আইন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূরীকরণে কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনী উল্লেখযোগ্য- ১.আইনে উল্লেখিত পাবলিক প্লেস, পরিবহনের আওতা বৃদ্ধি ও সব তামাকজাত দ্রব্য সেবন নিষিদ্ধ, আইন অমান্যে জরিমানা বৃদ্ধি এবং এসব স্থানে আলাদাভাবে ‘ধূমপানের স্থান’ না রাখা। ২. তামাক কোম্পানির ‘সিএসআর’ কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা। ৩. চতুর ও কৌশলী প্রচারণা বন্ধ করতে বিক্রয় স্থলে সব ধরনের তামাকদ্রব্য দৃষ্টির আড়ালে রাখা। ৪. খোলা ও খুচরা এবং ভ্রাম্যমাণ তামাক বিক্রয় নিষিদ্ধ করা। ৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের দোকান না রাখা। ৬. তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং খোলা ও খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা। ৭. তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ৯০ শতাংশ করা এবং স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং চালু করা। ৮. ই-সিগারেট বা ভেপিংয়ের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয়, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উল্লেখযোগ্য। আইনটি শক্তিশালী করা হলে দেশের মধ্যবয়সি এবং তরুণদের মাঝে তামাক ব্যবহার বহুলাংশে কমে আসবে। যাতে তামাকজনিত রোগ ও অকালমৃত্যু হ্রাস পাবে। বর্তমানে ‘ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো’তে সরকার ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সরকারকে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে তামাক কোম্পানি থেকে শেয়ার প্রত্যাহার করার জন্য। আমাদের অনেক পুরনো আইন ‘এসেনসিয়াল কম্যুডিটি অ্যাক্ট-১৯৫৬’তে তামাক জরুরি পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘কৃষি বিপণন আইন-২০১৮’তে তামাক অর্থকরী ফসলের মধ্যে অন্যতম হিসেবে রাখা হয়েছে। এ রকম কিছু কিছু বিষয় তামাক কোম্পানিকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। পুরনো যেসব আইন, নীতি, অধ্যাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের সমস্যা সৃষ্টি করে এমন বিষয় সন্নিবেশিত রয়েছে সেগুলো সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করতে হবে। এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩ অনুসারে তামাক কোম্পানির প্রভাব বন্ধে ‘গাইডলাইন’ প্রণয়নও অত্যন্ত জরুরি। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তামাকজাত দ্রব্যে ১ শতাংশ হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ ও ২০১৭ সালে এ সংক্রান্ত নীতি প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু দেশে ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ প্রণয়ন করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা বাস্তবায়নে ‘রোডম্যাপ’ প্রণয়ন এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি অধিকতর গতিশীল ও সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। তাছাড়া কর ফাঁকি ও জটিল তামাক কর আহরণ প্রক্রিয়ায় বরাবরই লাভবান হচ্ছে তামাক কোম্পানি। এদিকটায় নজর দেয়ার সময় এসেছে। সর্বোপরি, নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করা অতীব জরুরি। কারণ তা না হলে আমাদের কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তন এবং নানান কারণে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ। এছাড়া দ্রুত বর্ধনশীল জনগণের আগামী দিনের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আগামী প্রজন্মকে তামাক, মাদকের ছোবল থেকে রক্ষার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে খাদ্যশস্য উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান একান্ত জরুরি। সরকার এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ নেবে, আজকের দিবসে এটাই প্রত্যাশা।

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী : দন্ত বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (অনারারি), বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App