×

জাতীয়

প্রত্যাশার চাপে হিমশিম অর্থমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ০৮:৪৩ এএম

প্রত্যাশার চাপে হিমশিম অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি

তাদের দাবি ও সুপারিশের প্রতিফলন দেখতে চায় বিভিন্ন চেম্বারসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো

মহামারি ও যুদ্ধের আঘাতে বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে খাদ্য ও সার্বিক মূল্যস্ফীতি। গত এক বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তেমন কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান নয়। এই প্রেক্ষাপটে আগামী ১ জুন সংসদে উঠছে নতুন অর্থবছরের বাজেট। বিশ্লেষকরা অনেক আগ থেকেই বলে আসছেন, এবারের বাজেটে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে অর্থমন্ত্রীকে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরটি তাদের জন্য স্বস্তির ছিল না। আগামী অর্থবছরেও এর প্রভাব চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন বাজেটে বিভিন্ন চেম্বার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রত্যাশার চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শুধু বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রেই নয়; আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টি। জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য জনমুখী ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বৈশ্বিক সংকট সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা কর ও ভ্যাট ছাড়ের বাজেট দাবি করেছেন। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মানুষের স্বার্থেই কল্যাণমুখী বাজেট প্রণয়ন করা হবে। যেখানে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।

করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার দাবি : ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার দাবি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই)। একই সঙ্গে নারী ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে তারা। আয়কর আইনের মৌলিক বিষয়গুলো আবশ্যিকভাবে আন্তর্জাতিক ও দেশের বিনিয়োগ চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে যুগোপযোগী আয়কর আইন প্রণয়ন করার কথাও বলা হয়।

প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- শুল্কায়ন, পণ্য খালাস এবং সব ধরনের শুল্ক ও কর পরিশোধ ত্বরান্বিত করার জন্য অনলাইন প্রক্রিয়াসহ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা। উৎপাদন, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে আরোপিত সব ধরনের শুল্ক ও কর এবং খালাস প্রক্রিয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্ব কাস্টমস সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যকর এবং জোরদার করে ফাঁকি দেয়া কর আদায়ের জন্য প্রণোদনা হিসেবে নিয়মিত স্কেলের বেতন-ভাতাদির অতিরিক্ত হিসেবে কর কর্মকর্তাকে পুরস্কার দেয়ার বিধান বাতিল করার দাবি জানানো হয়। রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব পলিসি কার্যক্রম পৃথক করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বিভাগ গঠন করার পরামর্শও রয়েছে।

ব্যবসাবান্ধব আয়কর ব্যবস্থা : জাতীয় বাজেটে সহজ ও ব্যবসাবান্ধব আয়কর ব্যবস্থা, আয়কর ও মূল্যসংযোজন করের আওতা বাড়ানো, আয়কর সংগ্রহে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, কর ব্যবস্থার সম্পূর্ণ অটোমেশন, স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিত করা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

ডিসিসিআই সভাপতি সামির সাত্তার লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির মধ্যকার কর হারের ব্যবধান কমানোর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নন-লিস্টেড কোম্পানির করপোরেট করের হার আরো ২ দশমিক ৫% কমানোর প্রস্তাব করেন। মূল্যস্ফীতির ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। আগামী ১০ বছরে করদাতার সংখ্যা কমপক্ষে ১-২ কোটিতে উন্নীত করতে এনবিআরকে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার আহ্বান জানায় ডিসিসিআই।

ভোগ্যপণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহার : চাল, ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সব ধরনের ফলে সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় ডিজিটালাইজেশনসহ আয়কর, শুল্ক ও মূসক হার পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটি বলছে, কৃষিজাত পণ্য মূলত ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে কেনা হয়। ফলে তাদের কাছ থেকে উৎসে কর কর্তন করা সরকারের রাজস্ব প্রক্রিয়াগতভাবে একটি অসম্ভব কাজ। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যে করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হলে দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনার প্রস্তাব : আগামী অর্থবছরে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মূল্য) হারে বিশেষ প্রণোদনা চায় তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একই সঙ্গে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ কার্যকরের নীতিসহায়তা চেয়েছে সংগঠনটি। তৈরি পোশাক শিল্পের অ্যাসেসমেন্টের সময় কর আরোপকালে অন্যান্য আয়, যেমন- গেইন অব অ্যাসেটস ডিসপোসাল, সাব-কন্ট্রাক্ট ইনকাম ও বিবিধ খরচকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে (৩০ শতাংশ) কর আরোপ না করে করপোরেট করহার ১২ শতাংশ হারে আরোপ করা। তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের রুল-১৬-এর টেবিল-১-এর আওতায় সাব-কন্ট্রাক্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চুক্তির মূল্য পরিশোধের সময় প্রস্তাবিত ধাপ অনুযায়ী উৎসে কর ধার্য করা, ওই করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করা, অন্যথায় অ্যাসেসমেন্টের সময় কর আরোপকালে করপোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ হারে কর ধার্য করা। রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকদের ইআরকিউ (এক্সপোর্টার রিটেনশন কোয়ান্টস ফান্ড) থেকে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব সংগঠনটির।

পর্যটন খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি : পর্যটনের জন্য ২৫০০০ কোটি টাকা বরাদ্দসহ এ খাতের উন্নয়নে ১০টি দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত পর্যটন জোট। অন্য দাবিগুলো হলো- পর্যটন খাতে অবাধ বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে, নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ, উপকূলীয় পর্যটন এলাকার উন্নয়ন ও দুর্যোগে প্রান্তিক জনপদের পর্যটন ব্যবসায়ীদের রক্ষায় কল্যাণ তহবিল গঠনসহ পর্যটন খাতের উন্নয়নে কমপক্ষে পঁচিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে, পর্যটন শিল্পের জন্য শুল্কমুক্ত আমদানির সুযোগ দিতে হবে, পর্যটন রপ্তানিতে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ইনসেনটিভ দিতে হবে, পর্যটনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ভ্যাট ট্যাক্স পুনর্নির্ধারণ করতে হবে, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ট্যুরিজম জোন ও আন্তর্জাতিক মানের সুবিধাদি প্রদান করতে হবে, বিনিয়োগ নিরাপত্তা প্রদানে আপৎকালীন তহবিল গঠন ও তার প্রাপ্তিস্বত্ব সহজতর করতে হবে, পর্যটন সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ও অন্যান্য সুবিধার জন্য বরাদ্দ দিতে হবে, পৃথক পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে, কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটনকে উৎসাহিত করতে বাজেটে বরাদ্দ দিতে হবে।

কর অব্যাহতি সুবিধা চায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১০ বছরের কর অব্যাহতি সুবিধা চেয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। একই সঙ্গে তারা পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে আরোপিত ১৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া ই-কমার্সের বিভিন্ন খাতের সুস্পষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণেরও অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ১০ বছরের কর মওকুফের দাবি প্লাস্টিক খাতের : বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠানের অগ্রিম আয়কর না নেয়া, রপ্তানি খাতসংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর ১০ শতাংশ করা, পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যে কাঁচামাল আমদানিতে সঠিক দাম নির্ধারণ করা, প্লাস্টিক খেলনাসামগ্রীতে ভ্যাট থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার এন্ড এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।

বিস্কুট উৎপাদনে ২০০ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি দাবি : সব ধরনের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় হস্তনির্মিত রুটি, বিস্কুট ও কেকের দাম বেড়ে গেছে। ফলে কর্মজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর তার প্রভাব পড়ছে। এছাড়া এই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোও ধুঁকে ধুঁকে চলছে। বর্তমানে হাতে তৈরি পাউরুটি, বনরুটি, বিস্কুটে উৎপাদন পর্যায়ে প্রতি কেজিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। এই সীমা ২০০ টাকা পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রুটি বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি।

ফার্নিচারে আমদানিকৃত কাঁচামালে শুল্ক বন্ড সুবিধা দাবি : বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবে আংশিক রপ্তানিমুখী শিল্পে ব্যাংক গ্যারান্টির সমপরিমাণ অর্থের বিপরীতে আমদানি করা কাঁচামাল ও উপকরণের জন্য শুল্ক বন্ড সুবিধা, ফার্নিচারের আমদানি করা কাঁচামালকে রেগুলেটরি ডিউটি এবং সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি থেকে অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এছাড়া ম্যানুফেকচারিং খাতে করপোরেট কর কমিয়ে বস্ত্র খাতের মতো নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

বিজিএপিএমইএ : বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বন্ড লাইসেন্সের মেয়াদ পাঁচ বছর করা ও বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের আমদানি প্রাপ্যতা তিন বছরে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ক্রয় ভ্যাটের আওতা বহির্ভূত রাখা, নিয়মিত বন্ডের সুবিধা দেয়া, স্থায়ী/অস্থায়ী আন্তবন্ড স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা ও ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা চার লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএপিএমইএ।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিএফএফইএ) : হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির ওপর বিদ্যমান ১ শতাংশ উৎসে কর থেকে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করা ও অগ্রিম আয়কর থেকে অব্যাহতি চেয়েছে। বর্তমানে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ নির্ধারিত আছে। এছাড়া প্রক্রিয়াজাতকৃত হিমায়িত রপ্তানিকারণ কারখানায় সরাসরি ক্রয়কৃত চিংড়ি ও মাছ ক্রয়ে উৎসে কর শূন্য করার দাবি জানিয়েছে বিএফএফইএ।

বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ এন্ড এডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) : প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করমুক্ত আয় সীমা সাড়ে চার লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে বি-স্ক্যান। বাড়ি ভাড়ায় মাসে ৫০ হাজার টাকা করছাড়ের বিধান, গাড়ি আমদানিতে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ আমদানি কর মওকুফ, মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত মোটরযানে শতভাগ নিবন্ধন ফি মওকুফ ও পরিবারে প্রতিবন্ধী থাকলে ৫০ শতাংশ ফি মওকুফের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (বিএফপিআইএ) : গ্রাহক পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর না কেটে বছর শেষে একবারে করের হিসাব করার দাবি জানিয়েছে বিএফপিআইএ। কারণ হিসেবে সংগঠনটি বলেছে, এ খাতের কাঁচামাল আমদানির সময় ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। বিক্রির সময়ও আবার ৭ শতাংশ অগ্রিম আয়কর কেটে রাখা হয়। এতে বছর শেষে দেখা যায়, যে পরিমাণ আয়কর তাদের হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি অগ্রিম আয়কর কেটে নেয়া হয়েছে। কর কর্মকর্তারা সেটি সমন্বয়ের কথা বললেও বাস্তবে তা পাওয়া যায় কম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App