×

শিক্ষা

ঢাবির সাইন্স লাইব্রেরির প্রক্ষালন কক্ষ সংস্কারের দাবি, উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ০১:৪৪ এএম

ঢাবির সাইন্স লাইব্রেরির প্রক্ষালন কক্ষ সংস্কারের দাবি, উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাইন্স লাইব্রেরির ব্যবহারে অনুপযুক্ত হওয়া টয়লেটগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার, লাইব্রেরির মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের দখলকৃত রুম ফেরত দেয়া ও বন্ধের দিনগুলোতে লাইব্রেরির সময় বাড়ানোসহ ছয় দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে উপাচার্য কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আট সদস্যের একটি দল এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সাইন্স লাইব্রেরির টয়লেটগুলো বর্তমানে ব্যবহারে একেবারেই অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। বারবার মৌখিকভাবে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়াও লাইব্রেরিতে ফার্মেসী ও ই ই ই বিভাগের তিনটি রুম রয়েছে যার মধ্যে একটি রুমে ফার্মেসী বিভাগের পাঠদান চলে ও বাকি দুটো রুম বন্ধ করে রাখা হয়েছে। একদিকে লাইব্রেরিতে রয়েছে সিট সংকট অন্যদিকে রুমগুলো দখল করে রাখা হয়েছে। এই রুমগুলো ফিরিয়ে দিলে সিট সংকট অনেকটাই কমে আসবে।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং শনিবার বাকি দিনগুলোর মতো সকাল আটটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধা হবে। মোকাররম ভবনের গেট সংলগ্ন রাস্তায় স্পিড ব্রেকার না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সেখানে একটি স্পিড ব্রেকার প্রয়োজন। এছাড়া, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে লাইব্রেরিতে পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয়। এসময় তারা লাইব্রেরির সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামত করার কথা বলেন।

এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সারজিস আলম ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা সাইন্স লাইব্রেরিতে টয়লেটের সমস্যা, সিট সংকট, সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামত করা, লাইব্রেরির সময় বাড়ানো, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অতিরিক্ত শব্দ রোধ করা, মোকাররম ভবনের সামনে স্পিড ব্রেকার দেয়ার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা প্রক্টর স্যারের কাছেও গিয়েছি। উনিও আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন।

সাইন্স লাইব্রেরিতে টয়লেটে গেলে বোঝার উপায় নাই আসলে কোথায় এসেছি! এটা কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশের সঙ্গে যায়না বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কোনোভাবে প্রক্ষালন কক্ষগুলো ব্যবহার করার মতো না। আমাদের কোনো রকমে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আখতারুজ্জামান ভোরের কাগজকে বলেন, কিছু শিক্ষার্থী বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এসেছে। বিষয়গুলো আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমি টয়লেট ইস্যুতে গ্রন্থাগারিককে জানিয়েছি। আর লাইব্রেরিতে বন্ধ রুমগুলো নিয়ে আগে খোঁজ নিতে হবে। কারো যেন আসন বা পড়াশোনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড., মাকসুদুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তাদের বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো: জরুরী ভিত্তিতে টয়লেট সংস্কার ও আধুনিকীকরণ, বিভিন্ন বিভাগের দখলকৃত (বিশেষত ইইই বিভাগের অব্যবহৃত) রুম আবারো গ্রন্থাগারের জন্য বরাদ্দ করা ও সিট সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ, শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং শনিবার সকাল আটটা থেকে রাত ১০টি পর্যন্ত লাইব্রেরীর সময়সীমা বৃদ্ধি, মোকাররম ভবনের গেট সংলগ্ন রাস্তায় স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অতিরিক্ত শব্দদূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও লাইব্রেরির সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App