×

শিক্ষা

জবির নতুন ক্যাম্পাস: পিডি নিয়োগে মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ০৯:০৯ এএম

জবির নতুন ক্যাম্পাস: পিডি নিয়োগে মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ

ছবি: সংগৃহীত

পূর্ণকালীন কোনো প্রকল্প পরিচালক (পিডি) না থাকলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের (কেরানীগঞ্জে) কোনো টেন্ডার অনুমোদন হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তাদের একজনের বিরুদ্ধে আবার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।

গত ১৪ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন’ : ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের জন্য কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন একজন পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স¤প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন- পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক নায়লা ইয়াসমিন ও উপপরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদ।

প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দৌঝাঁপ চালাচ্ছেন। আগামী ১৩ জুন রেজিস্ট্রার পদে অবসরে যাবেন প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পের শুরুর দিকে এবং বর্তমানে দায়িত্ব পালন করার জন্য পিডি হিসেবে তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সাড়া পেলে অবসরে যাওয়ার পর রেজিস্ট্রারকে চুক্তিভিত্তিক প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হতে পারে। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োজিত রয়েছেন উপপরিচালক নায়লা ইয়াসমিন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর থেকে তিনি নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্প দেখভাল করেন। তাই অভিজ্ঞ হওয়ার কারণে পিডি হিসেবে তার নাম প্রস্তাব করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উপপরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের প্রকল্প দেখভাল করেন। তবে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৈয়দ আলী আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি গঠনের অভিযোগে বলা হয়, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, কেমিক্যালস ও গ্লাসওয়ার মালামাল ক্রয়ে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ টাকার স্থলে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮৫০ টাকা নথিতে দেন সৈয়দ আলী আহমেদ। কী কারণে এটা করা হলো এর সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন ও পরবর্তী করণীয় সুপারিশের জন্য ৪ সিনিয়র অধ্যাপক ও এক সিনিয়র কর্মকর্তার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। পরে কমিটি তদন্ত করে সুপারিশ পাঠায়।

কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হয়। সত্যতা মেলায় সৈয়দ আলী আহমেদ ও আরেক কর্মকর্তা হিমাদ্রী শেখর মণ্ডলকে ওই দপ্তর থেকে বদলির সুপারিশ করা হয়। হিমাদ্রী শেখরকে বদলি করা হলেও সৈয়দ আলীকে অদৃশ্য কারণে বদলি করা হয়নি। এছাড়া এর আগে সৈয়দ আলীর বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের আসবাবপত্র ক্রয়ে অনিয়মের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের মতো বৃহৎ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দক্ষ ও সৎ ব্যক্তিকে চান জানিয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বড় প্রকল্প, হাজারো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর স্বপ্ন যেখানে জড়িত সেখানে দক্ষ, সৎ ও খ্যাতিমান কাউকে পিডি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক। চুক্তিভিত্তিক বা খণ্ডকালীন নয়, স্থায়ীভাবে পিডি নিয়োগ দেয়া হোক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App