×

মুক্তচিন্তা

সত্যই কি গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ০৫:৩৮ এএম

গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।’ (ভোরের কাগজ- ২৬ মে, ২৩) ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য কি সত্য বলে মনে হয়? সাদা চোখে দেখলে মনে হবে, নির্বাচন তো সুষ্ঠু আর অবাধ হয়েছে সামান্য গোলমাল ও ইভিএম সংকট সত্ত্বেও। বিজয়ী মেয়র জায়েদা খাতুন বলেছেন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী আজমত উল্লা খান পরাজিত হয়েও ফল মেনে নিয়েছেন এবং নতুন মেয়রের প্রতি তার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচন হলো জাতীয় নির্বাচনের স্থানীয় মডেল- বলছেন কেউ কেউ। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনার গাছের আম আর রাজশাহীর গোপালভোগ বা হিমসাগরের মধ্যে যে স্বাদের পার্থক্য, গাজীপুরের মেয়র ইলেকশন আর জাতীয় ইলেকশনের মধ্যে স্বাদের তারতম্য সেই রকম। এই মডেল দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সার্টিফিকেট দেয়া যাবে না। নির্বাচনে হেরে গিয়ে আজমত উল্লা খান যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং জায়েদা খাতুন যে শুভেচ্ছা ও প্রীতি-কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি- এই দুইয়ের মধ্যে মিল ও ঐক্য রয়েছে। একটি হলো সরকারি দলের প্রত্যাশা ওই নির্বাচনকে রিগিংমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত করে দেখানো যে তারা গণতন্ত্রের প্রতি কতটা নিবেদিতপ্রাণ ও গণতন্ত্রের তল্পিবাহক। গণতন্ত্রকে রাজনৈতিক করে রাখার যে ইতিহাস আওয়ামী লীগের তা প্রকাশ্যে আসত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের জায়গায় যদি বিএনপির প্রতীকধারী কোনো প্রার্থী বিজয়ী হতো। আজমত উল্লা সহজেই পরাজয় মেনে নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন না। অভিযোগ দায়ের করতেন নির্বাচনী অফিসে- রিগিং করে, সূ² কারচুপির মাধ্যমে ওই প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। আমি বা আমরা এই নির্বাচন মানি না, মানব না। বোঝা যায়, আজমত উল্লার শুভেচ্ছা আর জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের বিজয়ে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তাদের দুজনের প্রতীক দুটি হতে পারে, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক হৃদয় এক। তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এক। তাদের রাজনৈতিক নেতা নিয়ন্ত্রক-প্রভু এক। অতএব এই নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও কারচুপিহীনতা না হওয়ার পেছনে তাদের রাজনৈতিক চেতনার ঐক্যই প্রধানত কাজ করেছে। দ্বিতীয়ত, অপ্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই জাহাঙ্গীরের বিরোধিতা করে, তার মাকে, অরাজনৈতিক মাকে মেয়র হিসেবে পাস করিয়ে নিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছে যে সরকার কতটা আন্তরিক। এই আন্তরিকতার পেছনে যে একটি গোপন সদিচ্ছা আছে, তা অপ্রকাশ্য থাকলেও ভোটারদের অজানা নয়। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ৪৮০টি নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন যে অভূতপূর্ব কৃতিত্ব দেখিয়েছে, সেই কীর্তিমান কমিশন কিন্তু ৪৬০টি উপজেলার লাখ লাখ কেন্দ্র পাহারা দিতে পারবে না। সেই সক্ষমতা ইসির নেই। এত সিসি ক্যামেরাও তাদের নেই বা তাদের দেখভাল করার লোকবলও ইসির নেই। তাহলে তো নির্বাচনে জেলা ও উপজেলা স্তরের সরকারি আমলারাই হবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা তো সরকারের প্রশাসনিক ভেইন। সেই ভেইনে প্রবাহিত হবে সরকারের প্রত্যাশিত রক্তপ্রবাহ। তারা যে নির্বাচনে সরকারের হয়ে কাজ করবেনই, তাতে কোনো ভুল নেই। তাছাড়া প্রশাসনিক কর্তারা বিয়ামে জড়ো হয়ে শপথ নিয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য কাজ করবেন। তাদের উদ্দেশ্য মহৎ, তাতে সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যে রকম সুযোগ-সুবিধা তারা ভোগ করতে পারবেন, যে রকম স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারবেন, সম্পদ ব্যবহারে ও লুটপাটে নয়-ছয় করে সম্পদের পাহাড় গড়তে পারবেন, অন্য দল ক্ষমতায় এলে অতটা সম্ভব না। সরকার এর মধ্যেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনা করে বেতনের একটি অংশ প্রাক-রোয়েদাদ-পূর্ব (আর্থিক প্রণোদনা) স্টিমুলাস দেয়ার কথা জানিয়েছে। সেটা প্রকাশ্যে ঘুষ দেয়ার শামিল। আনুগত্যের বিনিময়ে বেতন কাঠামোর আয়োজনও সেই ঘুষেরই একটি ব্যবস্থা। দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য, তাদের সংখ্যা ১৩/১৪/১৫ লাখের মতো হবে, তারা অতিরিক্ত অর্থ পাবেন। কিন্তু যারা সরকারে নেই বেসরকারি অফিসের কর্মচারী বা কর্তা, তারা তো কিছুই পারেন না। কিন্তু ওই প্রাক-রোয়েদাদের অর্থনৈতিক অভিঘাতে যে বেসামাল হবেন এবং গণমানুষ হুঁশ হারা হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ক্ষমতা রক্ষার এই খেলায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠতে আর কত দেরি? দুই. বোঝা যাচ্ছে দেশের ৫টি সিটি নির্বাচনের পর আসবে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে এই ইসি যাতে দক্ষতা ও যোগ্যতা যাচাই করে ভোটারের মনে স্বস্তি ও বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে, সিটি নির্বাচনগুলো তারই মডেল নির্বাচন। এবং এই বিশ্বাস অর্জনের পর তারা যদি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে জাতিকে নিরপেক্ষ ও কারচুপিমুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে পারে, তাহলে তা হবে আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক বিজয়। কারণ সরকার চায় বিদ্যমান সংবিধানের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। আর বিএনপি মনে করে এই সরকার ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতোই ২০২৩/২৪ সালের নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকবে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার সিংহাসনটি দখলে রাখার জন্য এই পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে হলে শক্তিশালী ইসি প্রয়োজন, যারা বাইরে দেখাবে যে তারা শক্তিশালী কিন্তু ভেতরে ভেতরে ক্ষমতাসীনদের সার্ভ করবে। যে সরকারের ভেতরে আরেকটি সিন্ডিকেট সরকার চলছে, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের এই বক্তব্যই প্রমাণ করে, সেই সরকার কেন কাঁচা বাজারে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তা স্পষ্ট। অর্থাৎ সরকারের নানামুখী ব্যর্থতা সত্ত্বেও তারা দাবি করছে যে তারা জনগণের সেবায় নিয়োজিত। এই সরকার ঢাকা মহানগরে চলমান সিএনজিচালিত বেবিস্কুটারের মিটার অনুযায়ী যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে পারে না, তারা কি করে ১৭ কোটি মানুষকে সেবা দিচ্ছে বলে দাবি করে? মহানগর ঢাকার সবুজ গাছপালা আর খাস জায়গা যেখানে সরকারের তরফেই দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ আছে, সেই দায় থেকে সরকার নিজেকে মুক্ত করবে কেমন করে? আর পানির উৎস খাল-বিল, নালা-ডোবা, পুকুর ও জলাধার দখল ও হজম করা ভূমিখোরদের চারপাশে তো সরকারেরই রাজনৈতিক ছায়া বিদ্যমান, সেখানে তারা জনগণের সম্পদ উদ্ধার না করে, পার্কের গাছ কেটে, প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়নের কংক্রিট-নেশায় মত্ত দক্ষিণ সিটি মেয়র অটল, সেখানে নগরবাসীর সেবা যে সুদূরপরাহত, সেটা কে বলবে? গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সব ভোটার তাদের ভোট দিতে পেরেছে, কারণ সরকার সেটা নিশ্চিত করতে চেয়েছে। সরকারের দলীয় কর্মী বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকেরা ভোটের কারচুপিতে অংশ নেয়নি সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে। আওয়ামী চেতনার পুলিশরাও নৌকার পক্ষে সিল মারার উৎসবে যায়নি, কারণ সরকার সেটা চায়নি। কারণ ওই নির্বাচনের প্রতিদ্ব›দ্বীরা একই ফ্যামিলির মানুষ। যিনি জিতবেন তিনি এবং যিনি হারবেন তিনি, দুজনই একই- আওয়ামী পরিবারের সদস্য। হারলেও তারা বিজয়ী হয়েছেন। সেই কথাটাই ওবায়দুল কাদের বলেছেন। আওয়ামী লীগ হারেনি, বিজয়ী হয়েছে গণতন্ত্রের। এর মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মালিকমোক্তার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটে, এটাই বলতে চান ওবায়দুল কাদের। এটাই বলেন সব আওয়ামী নেতা ও কর্মী বাহিনী। কেননা বিএনপি তো সামরিক গর্ভজাত দল। মানে সামরিক বাহিনীর হাত ধরে ক্ষমতায় আসা দল। তারা গণতন্ত্র হত্যাই করতে জানে, গণতন্ত্র রক্ষা ও প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। কোনো গুরুতর প্রশ্ন উঠলেই আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন বিএনপি তো সামরিক বাহিনীজাত। তারা জনগণের জন্য গণতন্ত্র আনবে কেমন করে? কিন্তু ইতিহাস বলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় বসে। তার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিপরিষদের ৯০ শতাংশ সদস্যই মোশতাক মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে নানাভাবে কারচুপির মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকেন। সেই সঙ্গে কিছু ভিন্ন মতাবলম্বী রাজনীতিক যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের সাহায্য করেছে, তাদের পুনর্বাসন করেন। এবং তার হাতেই বাকশাল ভেঙে বের করে আনেন তিনি বহুদলীয় রাজনীতির গণতান্ত্রিক পরিসর। সীমিত আকারে রাজনীতির চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার ধারা নিয়ন্ত্রিত হলেও তা ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হয়ে যায়। সব দল নিষিদ্ধ ও সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু মূলত তার নিজের রাজনৈতিক সহকর্মীদের বিশ্বাস ও রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা দমন করেছিলেন। গণতন্ত্রকে চাপা দিয়েছিলেন শাসনধারা থেকে। রাজনীতির সেই বদ্ধ জলাশয়টির মুখ খুলে দেয় সামরিক মানসিকতার নেতা জিয়া। ফলে সেই জলধারা জাতীয় জীবনের মূল স্রোত হিসেবে সাগরের দিকে ধাবিত হয়। আর সেই ধারায় আওয়ামী লীগেরও পুনর্জন্ম ঘটে। এগুলো ইতিহাসেরই অংশ। একবার জিয়ার হাতে আর একবার খালেদা জিয়ার হাতে গণতন্ত্রের মুক্তি ঘটে। এই ইতিহাস অস্বীকারের উপায় নেই। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পার্টি সন্দেহ নেই; কিন্তু গণতন্ত্র চর্চায় দলটি মারাত্মকভাবে পিছিয়ে আছে। জাতীয় সরকার গঠন করে আগামী নির্বাচন করার একটি প্রস্তাব ঘুরছে রাজনৈতিক বাতাসে। সেই প্রস্তাবটি হালে পানি পাবে এমনটা মনে হয় না। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। এই যে এখন সিটি নির্বাচন চলছে, স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। অধিকার আদায়ের প্রশ্নে বিএনপি বলছে ভোটের, মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে। যদিও অতীতে সেটা করার রাজনৈতিক ইতিহাসও তাদের নেই। তারাও আওয়ামী সরকারের মতোই প্রায় কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে গেছে। তারা গণতন্ত্রের অবমুক্তি ঘটানোর দাবি করলেও নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে গণমানুষের অধিকার কায়েমে সচেষ্ট ছিল না। তবে এখন তারা শপথ করে বলছে যে রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে যে ভয়ংকর ফাঁক ও ফোকর রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে গণমানুষের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। তারা সেটা কতটা করবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এই সন্দেহের কারণেই বিএনপির আন্দোলনে সব মানুষ নেমে আসেনি রাস্তায়। এই সরকার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানিসহ আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়িয়ে সমাজে এমন এক আতঙ্ক সৃষ্টি করার পরও তারা গণহারে বিএনপির আন্দোলনে নামেনি। সরকার ও তাদের মেশিনারিজ সিন্ডিকেটের লোকদের সম্পদ কুক্ষিগত করতে সহায়তা দিয়ে চললেও, গণমানুষ রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে সেøাগান তুলছে না। তবে বিএনপির মিছিলে যে মানুষ আসছে না, তা নয়। তারা কর্মী বাহিনীর চেয়ে সংখ্যায় অতটা বেশি নয়। পরিস্থিতি যদি আরো খারাপ হয়ে যায়, তাহলে মানুষ নতুন সিদ্ধান্ত নেবে বলেই মনে হয়। এবং ধারণা করি, বিএনপি যে নির্বাচন প্রশ্নে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে পিছু হটবে না। হটে এলে তাদের রাজনৈতিক জনগণের প্রত্যাশা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কোনো ভিত্তি থাকবে না। সেটা কি তারা চাইবেন, নাকি চাইতে পারেন? ড. মাহবুব হাসান : সাংবাদিক ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App