×

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোর ঢাকা-বেইজিংয়ের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ০১:২৭ এএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোর ঢাকা-বেইজিংয়ের

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং। ছবি: ভোরের কাগজ

চীনের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং ও বাংরাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন তাদের সাক্ষাতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে সুষ্ঠু ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের চলমান প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেঝেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারা উভয়েই একই মতামত ব্যক্ত করেছেন যে সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন, কারণ যদি আর কোনো সমাধান না করা হয় তবে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি বাস্তব হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

রবিবার (২৮ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন চীনের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং। এ সময় তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এ আলোচনা হয়।

সাক্ষাৎ শেষে  পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার সান উইডং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।  ড. মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ড. মোমেন ২০২৩ সালের ২৭ মে ঢাকায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য চীনের ভাইস মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও সভ্যতার যোগসূত্র উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন ১৯৫০-এর দশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফর এবং তাঁর লেখা ‘দ্য নিউ চায়না অ্যাজ আই স’ শিরোনামের বইয়ের কথা উল্লেখ করেন।

চমত্কার পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রশংসা করে চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে এই কাঠামোটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি নতুন প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে এবং লক্ষ্য করেছেন যে দুই দেশ বৃহত্তর এবং উন্নততর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশাল কিছু অর্জন করতে পারে। ড. মোমেন উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশে চীনা এফডিআইয়ের বৃহত্তর প্রবাহকে আমন্ত্রণ ও উৎসাহিত করেন।

ড. মোমেন কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন চীন যে সহায়তা দিয়েছিল তা গভীর প্রশংসার সাথে স্মরণ করেন এবং এই বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার সংক্ষিপ্ত বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। চীনে ৯৮% বাংলাদেশী পণ্যে  ডিএফকিউএফ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করার সময়, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ যাতে এই ব্যবস্থা থেকে সর্বোত্তম সুবিধা পেতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় সম্মত হওয়া প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।

চীনের ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রশংসা করেন যারা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ১০তম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ এই মহাপরিকল্পনা থেকে সর্বাধিক সুফল পাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App