বিদ্যুতে বকেয়া ১৮ হাজার কোটি টাকা

আগের সংবাদ

খেলাপি ঋণ কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিন

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানের জনসভায় নেতৃবৃন্দ

ষড়যন্ত্রকারীরাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩ , ১১:১৫ অপরাহ্ণ আপডেট: মে ২৯, ২০২৩ , ১১:১৬ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি ও বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে রবিবার (২৯ মে) বিকেলে আয়োজিত জনসভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অতীতেও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যাপ্রচেষ্টা হয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগ ও শেখ নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি, পারবেও না। বরং যারা আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে চেয়েছে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে এবং হবে। কারন আওয়ামীলীগ সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগে আর কেউ অপরিহার্য নয়। তিনিই একমাত্র নেত্রী ও আমরা সকলেই তার বিশ্বস্ত কর্মী। এটাই আমাদের অহংকার ও গর্ব।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি বলেন, এই বিপ্লব তীর্থ চট্টগ্রাম এম.এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম. এ হান্নান ও চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চট্টগ্রাম। এই মাটি কখনো পরাভব মানেনি। যারা স্বাধীনতা চায় নি এবং এখনো পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখছে এই মাটি থেকেই তাদের মরণযাত্রা শুরু হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থেকে একটি অনুন্নত ও গরীব দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। অনেক দুর্যোগ-দুর্বিপাকের মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবেই। এটা হয়তো বা কোনো কোনো মহলের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা বিগত দিনে কম করে ২১বার শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আল্লাহর রহমতে সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন ও আমাদের সবার মঙ্গল, কল্যাণ ও প্রগতির জন্য তিনি বেঁচে থাকবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগে আর কেউ অপরিহার্য নয়। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে ও ষড়যন্ত্র হবেই; তবে কোনো ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে নিচিহ্ন করতে পারেনি, বরং যারা আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে চেয়েছে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আজকের এই জনসভায় সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণের উপস্থিতির মাধ্যমে জানান দিতে চাই কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে রুখতে পারবে না। যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকি দিয়েছে তাদেরকেই কবরে যেতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, আমরা অনেক সহ্য করেছি আর সহ্য করবো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা ডাইরেক্ট অ্যাকশন এ যাবো। মনে রাখতে হবে এটা ১৯৭৫ সাল নয় এটা ২০২৩ সাল। আগামী বছর জানুয়ারীতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এখন থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

জনসভা চলাকালে মঞ্চের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। পরে নেতৃবৃন্দের মধ্যস্ততায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। দুটি গ্রুপকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও শফিকুল ইসলাম ফারুকের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু, ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক কেবিএম শাহজাহান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। এছাড়া, ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিল সহকারে জনসভাস্থলে উপস্থিত হন।

ডি- এইচএ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়