×

সারাদেশ

সিসিক নির্বাচনে ‘ফ্যাক্টর’ মেয়র আরিফের ভোট!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ১০:৪৩ এএম

সিসিক নির্বাচনে ‘ফ্যাক্টর’ মেয়র আরিফের ভোট!

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ বলছে ‘না’, ভিন্নমত জাপার

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ভোট ব্যাংক ‘ফ্যাক্টর’ বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। সাধারণ ভোটারদের মতে আরিফের ভোট যেদিকে যাবে, জয়ের পাল্লাও সেদিকে ভারি হবে। এদিকে মেয়র আরিফের বিশ্বস্তজনরা বলছেন, নির্বাচনে তারা ভোট দিতেই আসবেন না। তবে এই নির্বাচনে মেয়র আরিফ কিংবা তার ভোট ব্যাংক কোনো ফ্যাক্টর নয় বলে আওয়ামী লীগ মনে করলেও ভিন্নমত জাপা নেতাদের।

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে। তবে প্রার্থীরা এক মাস আগে থেকেই মতবিনিময়সহ নানা রকম প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশেষ করে দলীয় প্রার্থীরা রয়েছেন কৌশলী প্রচারণায়। দলের নেতাকর্মী নিয়ে তারা সভা-সমাবেশ করছেন প্রতিদিনই। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কেন্দ্র থেকে সমন্বয় টিম করে দেয়া হয়েছে। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আতিকুর রহমান আতিকের নেতৃত্বে এই টিম ৩ জুন সিলেটে আসার কথা রয়েছে।

আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকে সিলেটে দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকটা শূন্যতা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে জাতীয় পার্টি বলছে, তারাই রয়েছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বিজয়ী হবেন। এদিকে আওয়ামী লীগ এবার একজন পরিচ্ছন্ন প্রার্থী পেয়ে একেবারেই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। দলীয় নেতারা মনে করেন, আনোয়ারুজ্জামান দীর্ঘদিন বিদেশে থাকলেও নিয়মিত তিনি দেশে আসতেন এবং নগরীর মানুষের সঙ্গে মিশতেন। বিশেষ করে বিগত সিটি নির্বাচনে প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন কামরানের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন এবং সেই সুবাদে নগরবাসী তাকে ভালোভাবে চেনে। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায়ও সবার সঙ্গে মিশেছেন। তাই তার পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ইতিহাস তাকে এই নগরীর সেবক বানাতে সহায়তা করবে।

এদিকে নির্বাচনে মেয়র আরিফের ভোট কোনো ফ্যাক্টর হবে কিনা- এমনটি জানতে চাইলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ভোট কোনো ব্যক্তির হতে পারে না। ভোট হলো জনগণের। কাজেই কারো ভোট ব্যাংক আমরা ফ্যাক্টর মনে করি না। আওয়ামী লীগ একটি জনমুখী সংগঠন। তাই জনগণের ভোটেই আমরা বিজয়ী হবো বলে মনে করি।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো ধরনেই নির্বাচনেই যাচ্ছি না। কাজেই যারা বিএনপিকে ভালোবাসেন, আরিফুল হককে ভালোবাসেন তারা ভোটকে প্রত্যাখান করবে বলে আমি মনে করি। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক ভোরের কাগজকে বলেন, জাতীয় পার্টি একটি বড় রাজনৈতিক দল। আমরা সিলেটে যোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী দিয়েছি। তিনি এরই মধ্যে

জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। কাজেই আমরা মনে করি সিটি নির্বাচনে আমাদের জয় হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরীর ভোট অবশ্যই ফ্যাক্টর। তাই বর্তমান মেয়রের অনুসারীরাও পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমাদের প্রার্থীকেই বেছে নেবেন বলে মনে করি। এদিকে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আরিফের ভোট এই নির্বাচনে ফ্যাক্টর। সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমদাদ আহমদ বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিপুল সংখ্যক সমর্থক রয়েছেন এই নগরীতে। কাজেই তারা যেদিকে জোর দেবেন সেদিকে পাল্লা ভারি হবে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীরেন্দ্র নাথ মনে করেন, আরিফের ভোট হিসাব পাল্টে দিতে পারে সিসিক নির্বাচনের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App