×

জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম

দুই মাসের মধ্যে অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ

ওষুধ কোম্পানি বায়োফার্মা লিমিটেডের পরিচালকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে হাইকোর্ট।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কোম্পানির দুজন শেয়ারহোল্ডারের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার (২৮ মে) রুলসহ এ আদেশ দেন। প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

স্বাস্থ্য সচিব, অর্থসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ, বায়োফার্মা লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেইসেঙ্গ দুদকে দেয়া এই সংক্রান্ত এক আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ জুলাই দিন রেখেছেন আদালত। এসময় রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুস সালাম মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।

‘দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা’ শিরোনামে একটি দৈনিকে গত ১৮ এপ্রিল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোলা হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও; কিন্তু লন্ডনে স্ত্রীর জন্য চেয়েছেন রাজনৈতিক আশ্রয়। শুধু তাই নয়, লন্ডনে কোম্পানি খুলে ব্যবসাও করছেন। কয়েকটি দেশে তৈরি করেছেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য দেশ থেকে অবৈধ চ্যানেলে নেয়া হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। বিদেশে টাকা পাচার করে বিত্ত বৈভবে ফুলেফেঁপে উঠলেও যেই কোম্পানির হাত ধরে এত কিছু, সেই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে রুগ্ন দশায়। গত ১৫ বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি বার্ষিক সাধারণ সভা। ২২ বছর ধরে দেয়া হয় না কোনো লভ্যাংশ। এ সময়ে মোট পণ্য বিক্রির ৪০ শতাংশ কম দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এসব অনিয়মের চিত্র। এমন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানটি হলো বায়োফার্মা লিমিটেড। ওষুধশিল্পে একসময় নেতৃত্ব দেয়া এই প্রতিষ্ঠান এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে। ধারাবাহিক অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মূল কারিগর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ডা. লকিয়ত উল্লাহ। কাগজে-কলমে ডিএমডি হলেও তিনিই প্রতিষ্ঠানটির সর্বেসর্বা।

এর আগে গত ২ এপ্রিল বায়োফার্মার পরিচালকদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদকের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন দেন তিনজন শেয়ারহোল্ডার। তারা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোর্শেদ উদ্দিন আকন্দ ও আব্দুল্লাহ হেল কাফি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন ও আবেদন যুক্ত করে মোর্শেদ উদ্দিন আকন্দ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি হয় আজ রবিবার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App