×

সারাদেশ

কিশোরগঞ্জে মদ্যপানে নিষেধ করায় ছেলের গলা কাটলেন বাবা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম

কিশোরগঞ্জে মদ্যপানে নিষেধ করায় ছেলের গলা কাটলেন বাবা

অভিযুক্ত বাবা (বামে) ও আহত ছেলে (ডানে)। ছবি: আলি হায়দার, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে মদ্যপানে নিষেধ ও মারধর করায় সিজারিয়ান ব্লেড দিয়ে ছেলের গলা কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে।

রবিবার (২৮ মে) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের গাছ বাজার আজরাদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ছেলেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

আহত মো. রাব্বি (২১) সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের গাছ বাজার আজরাদি গ্রামে মতিনের বাসায় ভাড়া থাকেন। পেশায় তিনি একজন বিদ্যুৎ মিস্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা শহীদুল ইসলাম দানিছকে (৫২) আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দানিছ জেলা শহরের একরামপুর স্টেশন রোডের একটি ফলের আড়তে চাকরি করেন। তার দীর্ঘদিনের মদ্যপানের অভ্যাস ছিল। মদ্যপান করে বাসায় আসলে এ নিয়ে সংসারে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো। রবিবার সকালে দানিছ তার স্ত্রী শামছুন নাহারের (৪০) কাছে নাস্তা দেয়ার কথা বলে। এ নিয়েও পরিবারের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সিজারিয়ান ব্লেড দিয়ে ছেলে রাব্বির গলা কেটে দেন। পরে স্থানীয়রা দানিছকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। অন্যদিকে রাব্বিকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জিয়াউল হক বলেন, মারাত্মক জখমের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। যে কারণে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

অভিযুক্ত বাবা শহীদুল ইসলাম দানিছ বলেন, আমি মদ্যপান করি বলে আমার দুই ছেলে রাব্বি ও রাফি এ পর্যন্ত ৪ বার মারধর করেছে। শনিবার রাতেও আমাকে ভাত না দিয়ে মারধর করছে। রবিবার সকালেও নাস্তা চাইলে মারধর করছে। পরে আমি আমার ছেলে রাব্বির কাছে থাকা সিজারিয়ান ব্লেড ছিনিয়ে নিয়ে তার গলায় চালিয়ে দেই। মারধর খেয়ে আমার মাথা ঠিক ছিল না তাই এমনটা হয়েছে।

রাব্বির মা শামছুন নাহার বলেন, আমার ছেলেকে ময়মনসিংহে পাঠাইছে ডাক্তারসাব। এলাকাবাসী ৫ টাকা, ১০ টাকা করে দিছে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার লাইগা। ওসি স্যারও এক হাজার টাকা দিছে। ছেলেডা ময়মনসিংহে আছে, আল্লাহই জানেন আমার ছেলেডা বাঁচবো কিনা? আমি আমার স্বামীর বিচার চাই।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App