×

জাতীয়

ইমো নম্বর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় রাজন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম

ইমো নম্বর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় রাজন

তিন প্রতারক। ছবি: ভোরের কাগজ

প্রতারণার অভিযোগে নাটোরের লালপুর ও রাজশাহী জেলার বাঘা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফজলে রাব্বি (২০), মো. রাজন আলী (২২) ও রনজু আহম্মেদ (২২)।

মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন রবিবার (২৮ মে) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার রাজন এলাকায় ইমো রাজন নামে পরিচিত। এ ব্যক্তি ইমো নম্বর সমস্যা সমাধানের নামে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরে ব্যবহারকারীদের আত্মীয়-স্বজনদেন কাছে বিপদের কথা জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও গ্রেপ্তার রনজু আহম্মেদ মুদি দোকানদার হলেও বিকাশ প্রতারণায় জড়িত ও ফজলে রাব্বি একজনের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম প্রতারকদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিলেন বলে জানা যায়।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন ভোরের কাগজকে বলেন, গ্রেপ্তার রাজন এলাকায় ইমো রাজন নামে পরিচিত। এ ব্যক্তি ইমো অ্যাপের সমস্যা সমাধানের নামে গ্রুপ খুলে। পরে টার্গেটকৃত গ্রুপ সদস্যদের অ্যাকাউন্টে শুধু স্টিকার ম্যাসেজ পাঠাতে থাকে। এত বিপুল পরিমাণ ম্যাসেজ আসার এক পর্যায়ে ওই নাম্বার হ্যাং হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। তখন রাজন ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই 'সমস্যা' সমাধানের জন্য তার আইডিতে ঢুকার একসেস চান। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়। ওই ওটিপির মাধ্যমেই তার অ্যাকাউন্টের একসেস নিয়ে ইমোর সব ম্যাসেজ পড়ে নেন ও তার আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তার আত্মীয়ের কাছে আমি বিপদে পরেছি, টাকা পাঠান, মা অসুস্থ টাকা পাঠান জাতীয় ম্যাসেজ পাঠিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন। তার এমন বিভিন্ন গ্রুপ আছে। তার মধ্যে রাজন স্টোরি, রাজন সলিউশন উল্লেখযোগ্য। তিনি আরো বলেন, সাধারণত সড়কের পাশে যারা সিম বিক্রি করেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বন করে মানুষের কাছ থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নেয়। পরে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আরো সিম ইস্যু করেন। সেসব সিম উচ্চমূল্যে বিভিন্ন প্রতারক চক্রের কাছে বিক্রি করে গ্রেপ্তার রাব্বি। সাধারণত সিমের দামের তুলনায় এগুলোর মূল্য ৪-৫ গুণ বেশি। এসব সিম দিয়েই প্রতারকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে। আর পেশায় মুদি দোকানী রনজু আহম্মেদ দোকানে বসেই বিকাশ কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App