×

জাতীয়

‘আলেশা মার্ট’ ভুক্তভোগী গ্রাহকদের ৭ দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম

‘আলেশা মার্ট’ ভুক্তভোগী গ্রাহকদের ৭ দাবি

রবিবার বিকেলে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির। ছবি: ভোরের কাগজ

আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি সাত হাজার গ্রাহকের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ‘আলেশা মার্ট’ থেকে ক্রয় করা পণ্য বা এর পরিবর্তে অর্থ ফেরত পেতে সাত দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। অন্যথায় কঠোরতম কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন তারা।

রবিবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, আলেশা মার্ট দেশের একটি বৃহত্তর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এটি আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও ডিরেক্টর সাদিয়া চৌধুরী।

প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের জানুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে। বিজ্ঞাপন ও নিয়মিত ক্যাম্পেইন আযোজন করে ওই প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের নজরে আসে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের মে ও জুন মাসে ৩৫ শতাংশ ছাড়ে ই-কমার্স ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। আমরা গ্রাহকরা ওই ক্যাম্পেইন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স নীতিমালা অনুসরণ করেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনি। নিয়ম অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করার কথা ছিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তী তা অসমাপ্ত থেকে যায়। ফলে আমরা আমাদের ক্রয়কৃত পণ্য বা টাকা বুঝে পাইনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। যাদের ক্রয়কৃত পণ্যমূল্য একশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা। অর্থাৎ গ্রাহকদের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।

সাত দাবিতে জানানো হয় বর্তমান ভুক্তভোগী গ্রাহকের প্রকৃত সংখ্যা ও তাদের মোট পাওনা টাকার পরিমাণ ওডার আইডিসহ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে; ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর থেকে যেভাবে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছিল, সেভাবে তালিকা প্রকাশ করে পুনরায় কার্যক্রম চালু করা; এসএস বাইক শপের কর্ণধার মেহেদী মোটরবাইক ডেলিভারি দেয়ার জন্য আলেশা মার্ট থেকে অগ্রিম ১০-১২ কোটি টাকা নিয়ে পরে বাইক ডেলিভারি করেননি।

বর্তমানে তিনি দুবাই পলাতক। তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ভুক্তভোগীদের যে টাকা নিয়ে গেছেন এই টাকাটা ফেরত আনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ও এই টাকা সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে ফেরত দেয়ার অনুরোধ করছি; আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি গ্রাহকের টাকা আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ব্যবসায়িক উদ্দেশে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রদান করেছেন। পরবর্তী সময় এই টাকা তারা আর ফেরত দেয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের কাছ থেকে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে এই টাকা ফেরত এনে সাধারণ গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়া; আমরা চাচ্ছি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও ডিরেক্টর সাদিয়া চৌধুরীকে আটক না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কঠোর নজরদারিতে রেখে গ্রাহকদের পাওনা টাকা দ্রুত ছাড় করণের ব্যবস্থা গ্রহণ; তারা যেন বিদেশ পালিয়ে না যেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনার টাকা ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে সাধারণ গ্রাহকের সাথে কথা বলুন। কিভাবে টাকা দেবেন আমাদের জানান।

আমরা সাত হাজার গ্রাহক আপনাকে সহযোগিতা করব। কিন্তু সকল ভুক্তভোগী গ্রাহকের টাকা অবশ্যই আপনাকে ফেরত দিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App