খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা

আগের সংবাদ

ইউজিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে যোগদান করেছেন ড. কাজী শহীদুল্লাহ

পরের সংবাদ

ইসিকে তোয়াক্কা করছে না কেউ

সিলেট সিটিতে আচরণবিধি ভঙ্গের হিড়িক

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩ , ৪:৪২ অপরাহ্ণ আপডেট: মে ২৮, ২০২৩ , ৪:৪৬ অপরাহ্ণ

সিলেট সিটি কর্পোরেশনে প্রতীক বরাদ্দের (২ জুন) আগেই প্রচারে নেমে পড়েছে প্রার্থীরা। তোয়াক্কা করছে না নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আচরণবিধি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা। এমনকি তফসিল ঘোষণার আগে সম্ভাব্য প্রার্থীরা যেসব বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন এলাকায় সয়লাব করে রেখেছিল, সেগুলোও সরায়নি। এদিকে, রিটানিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এসব সরানোর জন্য ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। তবু কোনো প্রার্থীর তেমন সাড়া পাচ্ছে না ইসি। অথচ এসব বিলবোর্ডসহ প্রচারসামগ্রী না সরানো হলে জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে নির্বাচনী বিধিমালায়।

এদিকে, সিলেট সিটি কর্পোরেশন (এসসিসি) নির্বাচনের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডগুলো নিজ উদ্যোগে অপসারণ করতে প্রার্থীদের বলা হয়েছে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় প্রার্থীরা লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন তারা নিজ উদ্যোগে এগুলো সরাবেন। আমরা মাইকিং করে প্রার্থীদের সতর্ক করছি। এরপরও যারা সরাননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মেয়র ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা প্রচার চালিয়ে আসছেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা এখানে কেউ শুনছে না। তিনি বলেন, যদি দ্রুত প্রার্থীরা প্রচার বন্ধ না করে ও বিলবোর্ডসহ প্রচারসামগ্রী না সরায় তাহলে বাধ্য হবো শাস্তি দিতে।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আগামী ২ জুন বিলি হবে প্রতীক, তারপর থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরুর নিয়ম থাকলেও নগরীর সর্বত্রই প্রার্থীরা বীরদর্পে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আইনকানুনের কোনো তোয়াক্কা না করে আইন লঙ্ঘনের রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। আর নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ বসে আছে বলে অভিযোগ। ২১ জুন ইভিএমে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এই সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও জাকের পার্টির জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু ও ছালাহ উদ্দিন রিমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ডি- এইচএ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়