কুমিল্লায় ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে খাদে, নিহত ২

আগের সংবাদ

শেষ মুহূর্তে স্থগিত অরিজিতের কনসার্ট

পরের সংবাদ

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এ্যাডহক কমিটির দাবি এনএফএফ ফাউন্ডেশনের

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩ , ১২:৪৬ অপরাহ্ণ আপডেট: মে ২৮, ২০২৩ , ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

রাজাকার ও অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো বন্ধ করা এবং হাইকোর্টের আদেশপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এ্যাডহক কমিটি অনুমোদনের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠর ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটার ফাউন্ডেশন (এনএফএফএফ)। সংগঠনটির দাবি আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হলে সারা বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ভূলণ্ঠিত হবে।

রবিবার (২৮ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান। এ সময় লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সংগঠনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন খ.ম. আমীর আলী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, জেলা প্রশাসককে জেলা কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপজেলা কমান্ডার বানানো মুক্তিযোদ্ধা সংসদের শুধু অবমাননা করাই নয় পরিষ্কার ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করা হয়েছে। আমরা এই চক্রান্ত থেকে মুক্তি চাই। আমার আমাদের পবিত্র সংগঠনকে অতিসত্তর ফেরৎ চাই।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত একটি চক্র রাজাকার ও অ-মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় টাকার বিনিময়ে সন্নিবেশিত করছে যাহা দেশ ও জাতির স্বার্থে অত্যন্ত অবমাননাকর।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের ভোটার তালিকায় রাজাকার ও অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন ২০২২-২৩ স্থগিত ঘোষনা করেন। এর পরেও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একদল মুক্তিযোদ্ধা নামধারী স্বার্থান্বেষী মহল এই মুহুর্তে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বাচন দেওয়ার জন্য গোপনে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হলে সারা বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ভূলণ্ঠিত হবে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রস্তাবিত এ্যাডহক কমিটি অতিসত্তর অনুমোদন দেয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ১৯৭২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ” এর কমিটি যাহা মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত বিধায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রস্তাবিত এ্যাডহক কমিটি অতিসত্তর যাহাতে অনুমোদন পায় তাঁর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম অতিতের ন্যায়- ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।

জামুকাকে বিলুপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কার্যকর করার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটির সভাপতি ও এনএফএফএফের সহ-সভাপতি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজকে অর্থব্য প্রতিষ্ঠান জামুকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে অধিভুক্ত করা হয়েছে। তাই জামুকাকে বিলুপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কার্যকর করা আমাদের প্রাণের দাবি। একসঙ্গে দুইটি সংগঠন চলতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীদের হটিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। শুধু সম্মান জানাতে গিয়ে আমরা আমাদের অফিসে বসিনা। যদি বাধ্য করা হয় জোর করে হলেও আমরা আমাদের অফিসে বসব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী বজলুর রহমান সাবেক মহাপুলিশ পরিদর্শক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ আঃ সালাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল ওয়াহাব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাম্মৎ রুবিনা খান প্রমুখ।

এসএম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়