ভারতের মণিপুর রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৩০-৪০ জন কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন। তবে এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বেসরকারি সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
রবিবার (২৯ মে) মণিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই নিয়ে গত এক মাসের কম সময়ের মধ্যে মণিপুরে সহিংসতায় প্রাণহানি শতাধিক ছাড়িয়ে গেল। সরকার এর আগে ৭৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল। সেই সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়ালো ১০৫ জনে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেয়ার জন্য মণিপুর হাইকোর্টের সুপারিশকে কেন্দ্র করে ৩ মে থেকে সহিংসতা চলছে মণিপুরে। নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার সম্পত্তি।
ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত থেকে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলছে। রাজ্যের কাকচিং জেলার সুগোনু, চুড়া চাঁদপুর জেলার কানকভি, পশ্চিম ইম্ফলের কাংচাপ, পূর্ব ইম্ফলের সাগলমাংসহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। পশ্চিম ইম্ফলে হামলার মুখে পড়েছেন বিজেপি দলীয় বিধায়ক কে. রঘুমনি সিং।
মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালানোয় এসব সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীরা একে ৪৭, এম ১৬ ও স্নাইপার রাইফেলের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজনকে নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।
রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সেনাবাহিনীর যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করবেন না। সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিন। আমরা বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যায় আছি। আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের রাজ্যকে ভাগ হয়ে যেতে দিতে পারি না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।