×

সাহিত্য

শেষ হলো নজরুলকে নিয়ে ছায়ানটের দুইদিনের সুরেলা সফর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম

শেষ হলো নজরুলকে নিয়ে ছায়ানটের দুইদিনের সুরেলা সফর

ছবি: সংগৃহীত

শেষ হলো নজরুলকে নিয়ে ছায়ানটের দুইদিনের সুরেলা সফর

ছবি: ভোরের কাগজ

শেষ হলো নজরুলকে নিয়ে ছায়ানটের দুইদিনের সুরেলা সফর

ছবি: ভোরের কাগজ

জৈষ্ঠের বিকেল থেকে শুরু হয় নজরুলকে নিয়ে ছায়ানটের দুই দিনের সুরেলা সফর। যে সফরে তন্ময় হয়ে শ্রোতারা উপভোগ করেছেন হৃদয়ে স্নিগ্ধতা ছড়ানো সে সব পরিবেশনা। এভাবেই স্নিগ্ধতার ছবি এঁকে শেষ হলো ছায়ানট আয়োজিত নজরুলকে নিয়ে দুই দিনের উৎসব। যেখানে নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত নজরুলের গানের সুরে মোহিত হল শ্রোতার হৃদয়। সুর-তাল আর লয়ের সম্মিলনে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতঅবধি এগিয়ে চলে সঙ্গীতাসরটি। আর চার ঘণ্টার পরিবেশনায় কবির রাগাশ্রয়ী গানগুলোতে যেন ভেসে বেড়াল বর্ষা, প্রেম, দ্রোহ, মানবতা আর দেশের কথা।

শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে আয়োজনের সমাপনী সন্ধ্যার শুরু হয় ছায়ানট শিল্পীদের ‘চঞ্চল শ্যামল এলো গগনে’ শীর্ষক সম্মেলক গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর ‘চঞ্চল শ্যামল এলো গগনে’ শীর্ষক সম্মেলক নৃত্যগীতে অংশ নেন ছায়ানটের বড়দের দল।

[caption id="attachment_433985" align="aligncenter" width="875"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

‘বনকুন্তলা রাগে নিবদ্ধ....বিরহবিধূর করুণ রস’, ‘সন্ধ্যামালতী রাগে নিবদ্ধ এই.....যেন বড় হয়ে উঠেছে’, ‘বেণুকা’ রাগে নিবদ্ধ... একীভূত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে’, ‘রূপমঞ্জরী'রাগে নিবদ্ধ মৃদুমধুর শৃঙ্গাররসে পূর্ণ’ শীর্ষক নজরুলের সৃষ্টি থেকে পাঠ করেন জহিরুল হক খান।

‘দোলন চাঁপা বনে দোলে’, ‘বন-কুন্তল এলায়ে বন-শবরী ঝুরে’, ‘শোন্ ও সন্ধ্যামালতী’, ‘বেণুকা ও কে বাজায় মহুয়া বনে’, ‘বসিয়া বিজনে কেন একা মনে’, ‘স্বপনে এসো নিরজনে’, ‘নীরন্ধ্র মেঘে মেঘে অন্ধ গগন’, ‘কেন গো যোগিনী’, ‘দূর বেণুকুঞ্জে বাজে’, ‘মুরলীমেঘের ডমরু ঘন বাজে’, ‘আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া’, ‘সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে’, ‘ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে’, ‘বরষা ঐ এলো বরষা’, ‘আজো মধুর বাঁশরী’, ‘সেই মিঠে সুরে’,

[caption id="attachment_433983" align="aligncenter" width="868"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

‘সন্ধ্যামালতী যবে ফুল বনে ঝুরে’, ‘বন্ধু রে, বন্ধু পরান বন্ধু’, ‘চেয়ো না সুনয় না আর চেয়ো না’। এসব একক গান গেয়ে শোনান সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, বিভাস রঞ্জন মৈত্র, রেজাউল করিম, জহিরুল হক খান, মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া, সুমন মজুমদার, প্রমিতা দে, বিভাস রঞ্জন মৈত্র, শাহীন সামাদ, ধ্রুব সরকার, ইয়াকুব আলী খান, লতিফুন জুলিও, সমুদ্র শুভম, মনীষ সরকার, কানিজ হুসনা আহম্মদী, বিটু কুমার শীল, অনামিকা সরকার সোমা, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান, ঐশ্বর্য সমদ্দার, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, সুমন চৌধুরী, তানভীর আহমেদ, মাহমুদুল হাসান।

‘প্রথম প্রদীপ জ্বালো’ এবং ‘নাচের নেশার ঘোর লেগেছে’ শীর্ষক দুটো সম্মেলক গানে অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা।

‘এসো হে সজল শ্যামল ঘন দেয়া’ শীর্ষক সম্মেলক নৃত্যগীত পরিবেশন করেন ছায়ানটের বড়দের দল, ‘চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা’ শীর্ষক সম্মেলক গানে অংশ নেয় ছায়ানটের ছোটদের দল। ‘পায়েলা বোলে রিনিঝিনি’ শীর্ষক একক নৃত্য পরিবেশন করেন ওয়ার্দা রিহাব।

‘ওঠ্ রে চাষী’ কবিতাটির আবৃত্তি পরিবেশন করেন হাসিব বিল্লাহ এবং ‘মানুষ’ কবিতা আবৃত্তি করেন নাসরিন আক্তার রেখা। সব শেষে রীতি অনুযায়ি জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুই দিনের উৎসব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App