×

জাতীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হবে

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের করকমলে ক্রেস্ট অর্পণ করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য। ছবিটি তুলেছেন ভোরের কাগজের ফটোসাংবাদিক মামুন আবেদীন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, এই আইনটি সংশোধনের জন্য যদি বিবেচনা না করতো তাহলে সংসদের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হতো না। সংসদের স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্বরত সংসদ সদস্যরা আইনটি সংশোধনের জন্য আরো বিশদভাবে ব্যাখ্যা করবে। এরপর এটা সংশোধন করা হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানালে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে ডিআরইউয়ের নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মতিয়া চৌধুরী, আজকে ডিআরইউ ডিজিটাল নিরাপত্ত আইন বাতিলের দাবি তোলেছে। এই সংগঠনের মধ্যে কিছুটা দ্রোহ আছে। তবে অধিকারের সঙ্গে দায়িত্বশীলতাও আছে। এটি যদি না থাকে কোনো কিছু এগোয় না। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সীমারেখা নিধারিত হওয়া প্রয়োজন। সাংবাদিকতা একটি জীবন্ত পেশা। সাংবাদিকতার দায়বন্ধতা হলো সমাজের কাছে, জনগষ্ঠোর কাছে, মানবগোষ্ঠীর কাছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, প্রেস ক্লাবে রির্পোটার (প্রতিবেদক) প্রবেশ করতে না দেয়া ও বিভাজন এর কারণে ডিআরইউ গঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেসব কারণ এখনো বিদ্যামান। তাই রাজনৈতিক উর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠের সাংবাদিকরা ডিআরইউ গড়ে তোলেছে। এখনো সংগঠনটি ইউনিটি বজায় রেখেছে।

[caption id="attachment_433977" align="aligncenter" width="1600"] শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের করকমলে ক্রেস্ট অর্পণ করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য। ছবিটি তুলেছেন ভোরের কাগজের ফটোসাংবাদিক মামুন আবেদীন[/caption]

সাংবাদিকতা আরো চ্যালেঞ্জের মুখে- এই শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকতার বর্তমান চেহারা থাকবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও চ্যাটজিটিপির যুগে আগামী ১০ বছর পর পত্রিকা বলতে কিছু থাকবে। আগামী ২০ বছর পর টেলিভিশন বলতে কিছু থাকবে না। কী থাকবে সেটা বলতে এখন বলা যাবে না। আগামীর ভবিষ্যতে কথা চিন্তা করে এগোতে হবে। নতুন বাস্তবতার কথা চিন্তা করতে হবে। নতুন বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে হবে, সমন্বয় করতে হবে।

‘ঐক্যেই সমৃদ্ধি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এই সম্মামনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোরসালিন নোমানী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল আহসান। অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন খাদেম ও রফিকুল ইসলাম আজাদ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আযম মীর শহীদুল আহসান, কাজী আবদুল হান্নান, সৈয়দ আখতার ইউসুফ, অজিত কুমার সরকার, বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের দুই অংশের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও আকতার হোসেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, ডিআরইউ'র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ওইলিয়াস হোসেন।

এর আগে সকালে ডিআরইউ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App