×

মুক্তচিন্তা

বৃক্ষ নিধন নয় বৃক্ষরোপণ করুন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ১২:৩০ এএম

বৃক্ষ নিধন নয় বৃক্ষরোপণ করুন

‘বৃক্ষ মানুষের পরম বন্ধু’ এ কথা শোনেনি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। তবে ক’জন এ কথাটিকে গলাধঃকরণ করতে পেরেছে তা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট। যে নৌকা নদী পার করে সে নৌকায় ফুটো করা কি আদৌ বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে? অবশ্যই নয়। অক্সিজেন আমাদের বেঁচে থাকার নিয়ামক আর বৃক্ষ তার একমাত্র উৎস। অক্সিজেন ছাড়া শুধু আমরাই নই সৃষ্টিকুলের কোনো প্রাণীর পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। একজন বিবেকসম্পন্ন মানুষ যখন এটা জানবে, বুঝবে এবং অনুধাবন করতে পারবে তখন সে বৃক্ষ সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতন থাকবে। সাম্প্রতিক রাজধানীর সাতমসজিদ রোডে নগর উন্নয়নের নামে ডিভাইডার সংস্কার প্রকল্পে নির্বিচারে গাছ নিধনের ব্যাপারটি জাতীয় আলোচনায় এসেছে। যা প্রশাসনের অপরিণামদর্শিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আরো উন্নত শ্রেণির গাছ লাগানোর আশ্বাস দেয়। তবে তা কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। একটি সুস্থ নগরীতে যেখানে ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা জরুরি সেখানে ঢাকা নগরীতে রয়েছে ৮ শতাংশেরও কম। যার পেছনে বিভিন্ন ধরনের অপরিকল্পিত নগর উন্নয়ন প্রকল্প দায়ী। নগর উন্নয়ন মোটেও অসমীচীন কিছু নয়, তবে গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা মোটেও ভালো কিছু হতে পারে না। সাম্প্রতিক জরিপে এসেছে যে, বিগত দশকে দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর তুলনায় ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর যার পেছনে পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞরা অপরিকল্পিতভাবে গাছ নিধনকে দায়ী করেছেন। নগর উন্নয়ন লক্ষ্যে গাছ কাটা হলেও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অবশ্যই আরো বেশি বৃক্ষরোপণ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সে অনুযায়ী প্রশাসনের উদ্যোগ দেখা গেলেও তা দীর্ঘস্থায়ী ফল প্রকাশ পায় না। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে বৃক্ষরোপণের চেয়ে উৎকৃষ্ট পদ্ধতি আর হতে পারে না। প্রয়োজনের তাগিদে গাছ কাটা হলেও দেশগুলোকে বৃক্ষরোপণের হার বাড়াতে হবে। গাছ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করতে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থার আশু পরিবর্তন আবশ্যক। এ লক্ষ্যে অধিক হারে বৃক্ষরোপণের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। জাতীয় গণমাধ্যমগুলো এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষার্থীদেরও এ মহৎ উদ্যোগের অংশীদার করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।

জুনায়েদ মাসুদ : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App