×

মুক্তচিন্তা

পদ্মা ও যমুনায় ভাঙন : ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন জরুরি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ১২:৩০ এএম

পদ্মা ও যমুনায় ভাঙন : ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন জরুরি

বর্ষা মৌসুম আসার আগেই পদ্মার ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের বিভিন্ন জনপদের মানুষ। নদীভাঙনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে উপজেলার বড় নওপাড়া, সুন্দিসার, বেজগাঁও ও গাঁওদিয়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। পদ্মায় তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে মাটি সরে গেছে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ব্রাহ্মণগাঁও উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায়। এতে বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। হাজার হাজার বাল্কহেড দিয়ে নদী থেকে বালু লুট করে নেয়ায় নদীভাঙন বাড়ছে। গত বছর জেলার লৌহজং উপজেলার খড়িয়া থেকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় পর্যন্ত ৯.১ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙন এলাকার মধ্যে গাঁওদিয়া, বড় নওপাড়া, সুন্দিসার, বাঘেরবাড়ী প্রকল্পের আওতায় থাকলেও রাউৎগাঁও প্রকল্পের বাইরে রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে মুন্সীগঞ্জে ৪৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন থাকলেও অন্য এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়ায় নতুন করে ৪ কিলোমিটার এলাকার ভাঙন রোধের উদ্যোগ চলছে। আমরা আশা করব, এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এদিকে প্রতিনিয়ত পলি জমে নদী ভরাট হচ্ছে। ফলে বর্ষায় বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানি নদী ধারণ করতে পারে না। তখন দুকূল ভেসে যায়। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মা নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ভাঙন শুরু হয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ২০০ মিটার উজানে অবস্থিত নতুনপাড়া গ্রামে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের চরঘাগুয়া গ্রামের বাসিন্দারা যমুনার ভাঙনে সর্বস্ব হারানোর আতঙ্কে রয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই গ্রামের ১২টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পরই আবার ড্রেজার সংগ্রহের উদ্যোগ নেন। জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নদীবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় দৌলতদিয়া প্রান্তে নদীর তীর রক্ষায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের নকশা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করে তা অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটসহ গোটা গোয়ালন্দ উপজেলা নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। নদী খনন অত্যন্ত ব্যয় ও সময়সাপেক্ষ কাজ। তার আগে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

দয়াল কুমার বড়ুয়া : লেখক, চট্টগ্রাম। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App