৩৫১টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, বাড়তি সতর্কতা ইসির

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা অনিয়ম করার চেষ্টা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গকারী ব্যক্তি যে দলেই হোক না কেন তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, অনিয়ম করলেই শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শাস্তি কী হবে, তা অনিয়মের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে। ব্যক্তি যে দলেরই হোক, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, শিল্প এলাকা হওয়ায় গাজীপুর সিটিতে বিভিন্ন ধরনের মানুষের বসবাস। তাই সেখানকার মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতাও বেশি। তবে নির্বাচনী পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো। তবে কোনো থ্রেট না থাকলেও যেহেতু শিল্প এলাকা তাই দুষ্কৃতিকারীরা বা অসৎ উদ্দেশ্য যাদের থাকে তারা যেন অন্যায় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে তাই অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভাবে দৃষ্টি রাখছে।

গাজীপুর সিটি ভোটে ৩৫১টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ: ইসি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, গাজীপুরের ৪৮০টি কেন্দ্রের সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫১টি কেন্দ্র। আর ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৫৭টি ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৭৪ জন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে। সেখানে র‌্যাবের ৩০টি টিম থাকবে। বিজিবি প্রায় ১৩ প্লাটুন থাকবে। এছাড়া, স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি দল থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স থাকবে। অর্থাৎ প্রচুর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না হয়।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।