ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাকেশ চট্টগ্রামে মাদক ব্যবসায়ী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৩, ০৭:৩৭ পিএম
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাদক ব্যবসায়ী রাকেশ। ছবি: ভোরের কাগজ
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাদক ব্যবসায়ী রাকেশ ৬ সহযোগীসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার। ছবি: ভোরের কাগজ
হোসেন নামে এনআইডি সংগ্রহ করেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাকেশ। ছবি: ভোরের কাগজ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় দু’টি পিকআপে তল্লাশি চালিয়ে র্যাব ৭২ কেজি গাঁজাসহ সাত মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এই সাতজনের মধ্যে রাকেশ শীল নামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক যুবক আছে। বাংলাদেশে এসে ‘হোসেন’ নামে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বানিয়ে রাকেশ সীমান্তের মাদক কারবারিদের কাছ থেকে গাঁজা এনে বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করতো। সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় লোহাগাড়ার পাকা রাস্তার মাথা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
[caption id="attachment_433159" align="aligncenter" width="1600"]
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাদক ব্যবসায়ী রাকেশ ৬ সহযোগীসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]
গ্রেফতার হওয়া সাতজন হলো- রাকেশ শীল প্রকাশ হোসেন (৩৫), আলী হোসেন (২৭), আমান উল্লাহ (২৬), মো. ইদ্রিস (৩৮), আব্দুর জব্বার (৩৮), নুরুল কাদের ভুট্টো (২৫) এবং মনির উদ্দিন (৩৫)।
র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, গাঁজার চালানটি মূলত রাকেশ শীলের। মাত্র দশ বছর বয়সে ১৯৯৭ সালে সে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। প্রথমে নোয়াখালী এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দরটিলায় সেলুনে কাজ করতো। ২০১৩ সালের দিকে রাকেশ বন্দরটিলা এলাকায় গাড়ির হেলপারের কাজ নেয়। এরপর লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার এক মেয়েকে বিয়ে করে। সেই ঠিকানা ব্যবহার করে মো. হোসেন নামে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে।
[caption id="attachment_433160" align="aligncenter" width="689"]
হোসেন নামে এনআইডি সংগ্রহ করেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাকেশ। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]
মেজর মেহেদী বলেন, ‘রাকেশ মূলত মাদক বিক্রেতাদের কাছে হোসেন নামে পরিচিত। সে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেছে। তবে ধর্ম পরিবর্তন না করলেও মো. হোসেন নামে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় ফেনী-কুমিল্লার সীমান্ত এলাকার মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে তার ভালো যোগাযোগ আছে। সেই যোগাযোগ এবং গাড়ির হেলপারের চাকরিকে কাজে লাগিয়ে সে সীমান্ত এলাকা থেকে গাঁজা-ফেনসিডিল এনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে সরবরাহ করতো। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে চট্টগ্রামে বিক্রি করতো।’
চট্টগ্রাম নগরী ও সীতাকুণ্ড উপজেলার অপরাধপ্রবণ জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় রাকেশ পরিবার নিয়ে বসবাস করে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা মেহেদী আরও বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরে তার মাদকের আখড়া আছে। চান্দগাঁওয়ের মোহরা এলাকায়ও একাধিক মাদকের আখড়া আছে। এর আগে জঙ্গল সলিমপুরে তিনবার অভিযান চালিয়েও রাকেশকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। কারণ হোসেন নামে মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া আর কেউ তাকে চিনতো না। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলায় তিনটি মাদক আইনের মামলা আছে।’
