×

জাতীয়

ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম

ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প

সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিংয়ের চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের (সিএমইসি) কার্যালয়ে ডিএনসিসি ও সিএমইসি শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সিএমইসি কনফার্ম (চূড়ান্ত) করেছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তারিখ ৫ জুলাই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব খরচও ওই কোম্পানি বহন করবে। আমরা আশা করছি বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। বর্জ্য যে বিরাট বড় সম্পদ, বর্জ্য থেকে যে টাকা আয় করা সম্ভব আজকে তা প্রমাণ হতে চলছে।

সোমবার (২২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিংয়ের চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের (সিএমইসি) কার্যালয়ে ডিএনসিসি ও সিএমইসি শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে মেয়র এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএনসিসির মেয়র ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দেশে চলমান সিএমইসি'র প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। এরই মধ্যে চায়নিজ কোম্পানিটি বেলারুশ, আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে সফলতার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিরাট বিপ্লব ঘটবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগে প্রবেশ করবে। যে বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করতো, মিথেন গ্যাস সৃষ্টি করতো সেটা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পদে পরিণত হবে।

সিএমইসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফনগ ইয়ানসু বলেন, বৈশ্বিকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়নের প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। চায়না ও বাংলাদেশ দুটোই অধিক জনসংখ্যার দেশ। ফলে এসব দেশে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করলে পরিবেশ দূষণ বাড়ে। আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন ব্যবস্থা রেখে যেতে পারিনা। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বেইজিং এখন সুফল পাচ্ছে। এই প্রকল্প ঢাকাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বেইজিংয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বেইজিং যে বর্তমানে পরিচ্ছন্ন শহর তার পেছনে রয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্মসূচি। এতে একদিকে যেমন দূষণ কমেছে, অপরদিকে মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চায়না বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে সিএমসিই বাংলাদেশে কাজ করছে জেনে ভালো লাগছে। ঢাকায় পরিবেশবান্ধব এমন প্রকল্পের জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বৈঠকে আরো আলোচনায় অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এসএম শরিফ-উল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শফিকুর রহমান।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিএমইসির সঙ্গে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ডিএনসিসি। চুক্তি অনুযায়ী, চীনা কোম্পানি নিজ ঝুঁকিতে প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। অপরদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে। রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ডিএনসিসি এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App