×

সারাদেশ

গৌরীপুরে জামাতার বিরুদ্ধে শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বাবুলকে (৬০) হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে জামাতা এটিএম নাজমুস সাকলাইন অপুর বিরুদ্ধে। সোমবার তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।নিহতের নাম আব্দুল জব্বার গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বেড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিন তালুকদারের ছেলে। তিনি তারাকান্দা উপজেলার বাট্টা মিলন উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মে আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী হামিদা খাতুন নেত্রকোনা পৌর শহরের নাগড়া এলাকায় মেয়ে সুইটির বাড়িতে যান। রাত তিনটার দিকে মেয়ের জামাই অপু মসলা বাটার শীল দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মাথায় আঘাত করেন। এসময় পাশে শুয়ে থাকা স্ত্রী হামিদা খাতুন চিৎকার করে উঠলে তাকেও শীল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন অপু। চিৎকার শুনে মেয়ে সুইটি মা-বাবার কক্ষে এসে দেখে তাঁরা দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। পরে সুইটিকেও মাথায় আঘাত করেন তিনি।

এসময় তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে দুই দিন আইসিইউতে থাকার পর গতকাল সোমবার দুপুরে মারা যান আব্দুল জব্বার।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. আব্দুল খালেক বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেন।

নিহতের মেয়ে সুইটি বলেন, আমার স্বামী অপু বর্তমানে কর্মসংস্থান ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে বারহাট্টা শাখায় কর্মরত। বিয়ের পর থেকেই বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতেন তিনি। টাকা এনে দিলে কিছুদিন ভালো থাকলেও পরে আবার টাকা চাইতেন। এভাবে বেশ কয়েকবার টাকা নিয়ে এসেছি বাবার কাছ থেকে।

সুইটি বলেন, এ ঘটনার কয়েক দিন আগে আবার টাকা এনে দিতে বলেন অপু। আমি রাজি না হওয়ায় কৌশলে মা-বাবাকে বাসায় ডেকে এনে টাকা চান। তারা রাজি না হওয়ায় মসলা বাটার শীল দিয়ে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেন।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক বলেন, ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এটি হত্যাচেষ্টা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে গতকাল। ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে মরদেহ পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App