×

জাতীয়

অবৈধ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অনুমোদন বাতিলের দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩, ০৪:১২ পিএম

অবৈধ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অনুমোদন বাতিলের দাবি

ছবি: সংগৃহীত

নীতিমালা অনুসরণ না করে যেসব বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দ্রুত বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। একই সঙ্গে আগামী ৩০ মে’র মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৩১ মে সারাদেশে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।

রবিবার (২১ মে) সংগঠেনর পক্ষ থেকে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের লিগ্যাল এডভাইজার হোসাইন আহমেদ শিপন। সংবাদ সম্মেলনের স্বগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনের সভাপতি খাঁন মো. গোলাম মোরশেদ। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের মহাসচিব অ্যাডভোকেট, ইকবাল হোসেন সবুজ, বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির সভাপতি নাসিমুল হক ইমরান, ঢাকা নার্সিং কলেজ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি রাকিবুল হোসেন রাকিব।

লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হোসাইন আহমেদ শিপন বলেন, বেসরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৮০ শতাংশ নিজস্ব হাসপাতাল নেই ও কোনো হাসপাতালে সঙ্গে আইনগত চুক্তিভিত্তিক পার্টনারশিপ (অংশীদারত্ব) নাই। গুলোর অবকাঠামো (একাডেমিক ভবন, হোস্টেল), দক্ষ জনবল (শিক্ষক, অফিস স্টাফ), শিক্ষা উপকরণ, ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের হাসপাতালসহ নার্সিং শিক্ষার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতিতে গলদ ব্যাপক। বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের কিছু কর্মকর্তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পছন্দের ব্যক্তির নামে বেসরকারি নার্সিং কলেজের অনুমোদনের দিয়ে আসছে। ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে এখানকার একটি সিন্ডিকেট। এই কাউন্সিলের অধীনে সারাদেশে ৩৭২টি বেসরকারি নার্সিং কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে অবৈধভাবে শতাধিক নার্সিং কলেজের নিবন্ধন নিয়েছেন সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া ও ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম শুধু এই দুইজনের নামেই নিবন্ধন নেয়া রয়েছে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে আবু হাসনাত ৪৪টি ও জহিরের ১৫টি। এ প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত সময়ে নিবন্ধন বাতিল করা হোক।

অন্যান্য দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের’ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্স এর সমমানের প্রজ্ঞাপন অনতিবিলম্বে বাতিলপূর্বক এইচএসসি পাশের পর তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক ডিগ্রিতে রূপান্তর করতে হবে। গ্র্যাজুয়েট নার্সদের জন্য নার্সিং পেশায় স্পেশাল ক্যাডার সার্ভিস (সেবা ক্যাডার) অনতিবিলম্বে চালু করা ও প্রথম শ্রেণীর শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা। সরকারি চাকুরিতে কর্মরত নার্সদের মূল বেতনের ৩০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করা, অন্যান্য টেকনিক্যাল পেশাজীবীদের মতো আগে দেয়া চাকরির শুরুতে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট সুবিধা (বেতন বৃদ্ধি) প্রদানের সুবিধা বহাল রাখতে হবে। নার্সিং শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App