বাসে মাদক পরিবহন ঠেকাতে মালিকদের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩, ১১:১৬ এএম
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে আসা মাদকের যেসব চালান আটক করা হচ্ছে, সেগুলো বেশিরভাগই আসছে বিভিন্ন পরিবহনের বাসে। সম্প্রতি সময়ে বাস চালকদের মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার প্রবনতা বেশি দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি অভিযানে কয়েকজন বাস চালককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) তথ্য রয়েছে, বিভিন্ন পরিবহনের বাস চালক ও সুপারভাইজাররা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত পড়ছে। তাই বাসে মাদকে চালান ঠেকাতে মালিকদের নজরদারি বাড়ানো ও আরো সচেতনতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল এ আহ্বান জানান।
এদিকে, শুক্রবার বাড্ডা প্রগতী স্বরনী ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ২১ হাজার পিস অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএনসি। এরমধ্যে একটি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাস চালককে। মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল জানিয়েছেন, মাদক পাচার ঠেকাতে ডিএনসির নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। তবে, বাস মালিকদের নজরদারি বাড়িয়ে নিশ্চিত হতে হবে, তার পরিবহনের কোনো চালক বা স্টাফ মাদক কারবারে জড়িত কিনা? তাহলে বাসে মাদক আসার ঘটনা কমে যাবে বলে আশা করছি।
বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মাদক অভিযানের বিষয়ে ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান ভোরের কাগজকে বলেন, বাড্ডার প্রগতী স্বরনীতে মারসা ট্রান্সপোর্ট নামের একটি বাসে অভিযান পরিচালনা করে বাসটির চালক মাহমুদুল করিম ও মাদক ব্যবসায়ী রুমা আক্তারকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, বাসের ড্যাসবোর্ড ও ওই নারীর পরিহিত জুতায় বিশেষ চেম্বার থেকে ৪ হাজার ৮২৭ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। তারা দুজন সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এছাড়াও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ১৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ আরকটি চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মাদকের ডিলার নকিবুল ইসলাম ও খুচরা ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল ওরফে কামাল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তারা টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করে আসছিলো। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী চক্র দুটির অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান ডিএনসি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান।