×

জাতীয়

দুদকের কাছে সময় চেয়ে আবেদন জাহাঙ্গীরের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩, ০৮:৪৯ এএম

প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া অ্যাকাউন্টে লেনদেন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আগামী ২১ ও ২২ মে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ দুদিন তাকে দুদক কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়। তবে অভিযোগের বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানাতে দুদকের কাছে এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছেন সাবেক এই মেয়র।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর (অনুসন্ধান) বরাবর পাঠানো চিঠিতে তিনি এ সময় আবেদন করেন। আবেদনটি কমিশনের বৈঠকে উত্থাপনের পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। চিঠিতে অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ১৬ মে আপনার (মো. আলী আকবর, উপপরিচালক, দুদক) সই করা দুটি নোটিস গ্রহণ করি।

নোটিসে আমাকে আগামী ২১ মে সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়। এত সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অভিযোগসংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আনীত অভিযোগের বিষয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিল বা বক্তব্য দেয়া আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। যথাযথ দফাওয়ারি জবাব দাখিল বা বক্তব্য দেয়ার জন্য আমার এক মাস সময় প্রয়োজন। সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে আরো বলা হয়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমাকে বক্তব্য দেয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে এক মাস সময় বাড়িয়ে শুনানির জন্য পুনরায় তারিখ নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুনে গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একই সঙ্গে দুই সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

এর আগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই প্রজ্ঞাপনে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া দরপত্র, নির্দিষ্ট কোম্পানিকে দর দেয়ার অনুরোধসংক্রান্ত (আরএফকিউ) দরপত্রে অনিয়ম, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতি বছর হাটবাজার ইজারার টাকা যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা প্রশস্তকরণসংক্রান্ত অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App