কুলাউড়ায় আদিবাসী যুবককে কুপিয়ে জখম
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ঝিমাই পুঞ্জির একটি জুমে ঢুকে দুর্বৃত্তরা পানগাছ কাটার সময় আদিবাসী যুবক বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবক গুরুতর আহতাবস্থায় বর্তমানে কুলাউড়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে (১৯ মে) ঝিমাই পুঞ্জির পানজুমের ভিতর এ ঘটনা ঘটেছে। পুঞ্জির হেডম্যান (পুঞ্জি প্রধান) রানা সুরং বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের গাজীপুর গাংপাড় এলাকার ইসলাম উদ্দিনের ছেলে কয়েছ আহমদ, জলিল মিয়া, আছকর আলীর ছেলে আরজান আলী, মালিক মিয়ার ছেলে মুমিন মিয়া, কাদির মিয়া, মৃত কালা সোনার ছেলে নাহিদ মিয়া ঝিমাই পুঞ্জির জুমে ঢুকে প্রায় শতাধিক পানগাছ কাটেন। ওই জুমটি আদিবাসী যুবক জুয়েল সুরং দেখভাল করেন। তিনি শুক্রবার ভোরে দুর্বৃত্তদের জুমে ঢুকে পানগাছ কাটতে দেখে তাদের বাধা দেন। দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জুয়েলকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকেন। এতে জুয়েল সুরং (২৩) গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় পুঞ্জির লোকজন তাকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুঞ্জির হেডম্যান (পুঞ্জি প্রধান) রানা সুরং জানান, দুর্বৃত্তরা এর আগেও জুমে ঢুকে পানগাছ কেটেছে। শুক্রবার (১৯ মে) ভোরে উল্লেখিত দুর্বৃত্তরা জুমের ভিতর ঢুকে শতাধিক পানগাছ কেটে ফেলে। জুয়েল সুরং ওই জুমটি দেখভাল করে। দুর্বৃত্তদের পানগাছ কাটতে দেখলে জুয়েল বাধা দেয়ায় তারা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। সে গুরুতর আহত হয়েছে। তার চিৎকার শুনে পুঞ্জির লোকজন এগিয়ে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।