×

সাহিত্য

হৃদয়কে জারিত করতে হবে চিন্তার সংযোগে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৩, ০৯:৩৫ পিএম

হৃদয়কে জারিত করতে হবে চিন্তার সংযোগে

বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে কলকাতার বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন আয়োজিত কবিতা পাঠ, আলোচনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। ছবি: ভোরের কাগজ

সংস্কৃতি আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি নতুন নতুন জটিলতায় আমাদের জীবনকে আষ্টে পৃষ্টে জড়িয়ে ফেলেছে। যে জীবনে নিজের ভাবনার জগতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ নেই। এখানে কাটাকুটির শিল্প তৈরি হবে কী করে? এমন আগ্রাসী পরিস্থিতির মধ্যে সংস্কৃতি নিয়ে যারা ভাবছে, সংস্কৃতির টানে যারা এখানে এসেছেন তাদের অভিনন্দন। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনে প্রাণের মধ্যে টান তৈরি করতে হবে। হৃদয়কে জারিত করতে হবে চিন্তার সংযোগের মধ্য দিয়ে। যন্ত্রই যদি মানুষের চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে মানুষ করবে কী?

বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে কলকাতার বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন আয়োজিত কবিতা পাঠ, আলোচনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামলী যাত্রী পরিবহনের স্বত্বাধিকারী অবনী কুমার ঘোষ, সংগীত বিষয়ক পত্রিকা মাসিক সরগম-এর সম্পাদক কাজী রওনক হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ। সঞ্চালনায় ছিলেন দৈনিক দেশ তথ্য পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল বারী। অনুষ্ঠানে শ্যামল দত্ত, কাজী রওনক হোসেন ও তাসনিম জেবিন বিনতে শেখকে ক্রেস্ট এবং উত্তরীয় পড়িয়ে সম্মানীত করা হয়।

শ্যামল দত্ত বলেন, এখন তরুণ প্রজন্মের ভেতরে চিন্তার স্ফূরণ দেখা যায় না, তাদের মাথার ভেতরে শুধুই আছে জিপিএ ফাইভ। পড়াশোনার জগতটা ক্ষয়িষ্ণু হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। তবে মাটি বদলে যায়নি। পরিবর্তিত পৃথিবীতে শুধূ বদলে গেছি আমরা। তবে শত হতাশার মাঝেও আশা ছাড়িনি, এই বাংলার উর্বর মাটিতে নতুন সম্ভাবনার বীজ রোপিত হলে ফুলে ফলে ভরে উঠবে।

অবনী কুমার ঘোষ বলেন, দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটাতে আমার সহযোগিতার হাত সর্বদাই প্রসারিত থাকবে।

কাজী রওনক হোসেন বলেন, পারস্পরিক সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটাতে এমন সাংস্কৃতিক আয়োজন জরুরি। যে আয়োজনের মধ্য দিয়ে একে অন্যকে জানার সুযোগ ঘটবে।

ড. রাধাকান্ত সরকার বলেন, দুই বাংলার মধ্যে সাংস্কৃতিক মেল বন্ধন ঘটাতে আমরা বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক সফরে এসেছি। যেখানে বাংলা ভাষাভাষী আছে, তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে সম্প্রীতির বার্তা পৌছে দিচ্ছি বাংলা থেকে বিশ্ব।

অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন শ্যামল দত্ত, গৌড়ি সেন, অমল কুমার দাশ, শিব শংকর বংশী, অসীম কুমার মুখোপাধ্যায়, দীপিকা মণ্ডল, অসীম মুখার্জী, আশীষ কুমার পালসহ অনেকেই। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে কলকাতার শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২২ জনের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার, সিলেট, মাদারীপুর, কুষ্টিয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সাংস্কৃতিক সফর করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App