×

জাতীয়

হিজড়া-ট্রান্সজেন্ডারদের এগিয়ে নিতে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ০৮:৪১ পিএম

হিজড়া-ট্রান্সজেন্ডারদের এগিয়ে নিতে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই

ছবি: ভোরের কাগজ

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্র জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘন সাধারণত বেশির ভাগ পরিবার থেকেই শুরু হয়ে অন্যান্য পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। আমরা ভুলে যাই তারা আমাদের মতোই মানুষ ও কারো পরিবারের সদস্য। এমন পরিস্থিতিতে আসলে সামাজিক সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তাই এ জনগোষ্ঠীর বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে আরো মনযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। এর অংশ হিসেবে তথ্যচিত্রে, বইয়ে, সামাজিক সচেতনামুলক বিলবোর্ডে ও স্কুল কিংবা কলেজে এই জনগোষ্ঠীকে আলোচনা করতে হবে।

মঙ্গলবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্গন ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ট্রান্স জেন্ডার ওয়লে ফেয়ার বোর্ড গড়ার বিষয়েও জোর দেয়ার কথা জানান তিনি। ইউনাইটেড নেশনস ডেমোক্রেসি ফান্ডের (ইউএনডিইএফ) আওতায় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সভাটি আয়োজন করে। বন্ধুর নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার, পরিচালক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিকসহ মানবাধিকার কমিশনরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও বন্ধু সভার কর্মকর্তারা।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত ট্রান্স জেন্ডার ওয়েলফেয়ার বোর্ড গঠন করে। বোর্ডটি তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কাজ করছে। সেখানে আমারা এখনো পিছিয়ে আছি। তাই আমরা দ্রুত এ বিষয়ে কী করা যায় তা নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিবকে চিঠি দেবো। এছাড়াও আমরা হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ সুরক্ষা আইনের ড্রাফট তৈরী কাজ এগিয়ে নিতে চাই। জেলায় হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর সমস্যা জানাতে হবে ও তা সমাধান করতে হবে। তাই বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে একটি কার্যকরী বিবরণী তৈরী করতে বলেন। যা মানবাধিকার কমিশন প্রত্যেক জেলার ডিসির কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠী নিয়ে মানবাধিকার কমিশন সচেতন রয়েছে। তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে এই জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন নতুন কর্ম সংস্থানের প্রয়োজন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রযোজন। বন্ধু সভার সঙ্গে এই বিষয়ে আমরা কাজ করবো।

অনুষ্ঠানে বন্ধুর নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ বলেন, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর সদস্যরা প্রায়ই অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। গত ২৫ বছর ধরে তাদের স্বাস্থ্যসেবা, মানবাধিকার, আইনি সেবাসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে বন্ধু। এছাড়াও ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠানে ২০০ জনকে কাজের ব্যবস্থা করবো আমরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App