×

জাতীয়

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্থ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্থ

জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, বর্তমান পদ্ধতীতে নির্বাচন হলে সরকার যাকে চাইবে সেই নির্বাচিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সদিচ্ছার দরকার। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্থ। নির্বাচন কমিশনারদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনাররা হচ্ছেন বিকালঙ্গ, তাদের কাজ করার শক্তি নেই। তাদের হাত-পা বিকালঙ্গ। গাইবান্ধায় কারচুপির জন্য নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছেন। তদন্তে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং অভিযুক্তদের পুরুস্কৃত করা হয়েছে। সরকারী তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হলো, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা নেই নির্বাচন কমিশনের। সরকার দলীয় প্রার্থীদের জন্য যারা কারচুপি করেছে, তাদের তো শাস্তি দেবে না সরকার। অ্যাসাইনমেন্ট দেয়ার অনুরোধ

মঙ্গলবার, ১৬ মে বেলা ৩টায় মোহম্মদপুর রিং রোডের সুচনা কমিউনিটি সেন্টারে মোহাম্মদপুর থানা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯১ সালে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করেছিলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তখন কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়নি। পল্লীবন্ধু তাদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন। বিএনপি ১৯৯৬ সালে আবার সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চেষ্টা করেছিলো। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিরোধীদল গুলো নির্বাচনে যায়নি। আমরা আন্দোলন করেছিলাম। তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি আন্দোলন করেছিলো। আবার ওয়ান ইলেভেন এর আগে ইচ্ছেমত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তৈরী করে বিএনপি নির্বাচন করতে চেয়েছিলো। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। ২০০৮ সালের নির্বাচনও সংবিধান মেনে হয়নি। এখন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের পক্ষে। আসলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করে। ক্ষমতায় গেলেই সংবিধানের কথা বলে আর ক্ষমতার বাইরে গেলে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলেন। আমরা সরকারের আওতার বাইরে নির্বাচন চাই। আমরা একটি ভালো নির্বাচন চাই। প্রয়োজনে সব দল মিলেই সিদ্ধান্ত নেবো। নির্বাচনে আমরা জনগণের রায় দেখতে চাই। এতে জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

১৯৯১ সালের পর থেকে জাতীয় সংসদের কোন ক্ষমতা নেই। সংবিধানের ৭০ ধারার কারনে সরকার যা বলবে তাই হবে। আওয়ামী লীড় ও বিএনপি দুটি দলই এই ধারার সুবিধাভোগী। বর্তমানে সংসদে গান, কবিতা আবৃতি এবং নাটকের অংশ চর্চা চলে। সংসদে আলাপ-আলোচনায় ব্যক্তি পূজা চলে, স্মৃতিচারণ চলে। এই সংসদ কী বিনোদণ কেন্দ্র ? নাকি নাট্যশালা ? সংসদে কোন জবাবদিহিতা নেই। সম্মেলনে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম ভূইয়াসহ শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App