×

সারাদেশ

ভৈরবে একই সঙ্গে ঝুলছিলো মা সন্তানের লাশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম

ভৈরবে একই সঙ্গে ঝুলছিলো মা সন্তানের লাশ

ভৈরব থানা। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুরে শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে সাড়ে তিন বছরের শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে রশিতে ফাঁস নিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। নিহত গৃহবধু জোনাকি আক্তার (৩৫) ও নিহত সাড়ে তিন বছরের আলিফ ইতালি প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী ও সন্তান। সোমবার (১৫ মে) সকালে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এমন করুন ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার পর থেকে শাশুড়ি ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ গ্রামের রইছ বাবুর্চির মেয়ে জোনাকি আক্তারের সাথে শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকার ইতালি প্রবাসী ফারুক মিয়া ছেলে ফরহাদ মিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর প্রথম কিছু দিন সংসার ভালো চললেও কিছুদিন পর থেকেই শাশুড়ির কারণে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। নিহত জোনাকি আক্তারের স্বজনরা জানান, বিয়ের প্রথম দিকে স্বামী ফরহাদ মিয়া স্ত্রী জোনাকি আক্তারের কথা শুনলেও পরে মায়ের কথায় বেশি সায় দিতো। এছাড়া শাশুড়ি বেবী বেগম বিভিন্ন সময় জোনাকি আক্তারকে গরিব পরিবারের মেয়ে বলে উপহাস করতো এবং বিভিন্ন সময় বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। মূলত এসব কারণেই দুঃশ্চিন্তায় ও যন্ত্রণায় ভুগছিলো জোনাকি। তারা আরো জানান, ইতালি প্রবাসী ফরহাদ মিয়া জোনাকি আক্তারকে বিয়ে করার আগে আরো একটি বিয়ে করেছিলো। সেই স্ত্রীও শাশুড়ির নির্যাতনে বাবার বাড়ি চলে যায়। তারা বলেন, গতকাল (রবিবার) রাতেও মুঠোফোনে শাশুড়ির নির্যাতনের বিষয়টি জানিয়ে ছিলো জোনাকি। এমনকি সন্তানসহ তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলেও জানায় সে। তাদের ধারণা শাশুড়ি ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ (সোমবার) সকাল অনেক হয়ে যাওয়ার পারও দরজা বন্ধ দেখে তারা প্রথমে ডাকাডাকি করে। তাতেও কারও শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন এক রশিতে শিশু সন্তান ও অন্য রশিতে মা এর মরদেহ ঝুলছে। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা ও সন্তানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম মোল্লা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ঘটনার পর থেকে শাশড়ি ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তিনি আরোও জানান, লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App