×

জাতীয়

বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে বহির্বিশ্ব সন্দিহান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম

বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে বহির্বিশ্ব সন্দিহান

ছবি: ভোরের কাগজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে আলোচনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে সেখানেই যান, সেখানেই প্রশ্ন উঠছে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না? কারণ বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে বহির্বিশ্ব সন্দিহান।

সোমবার (১৫ মে) বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আগামীর বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম। এতে আরো বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ন ম এহসানুল হক মিলন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হওয়ায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। তারা বলছে, সংবিধানের বাইরে নির্বাচন করবে না। কিন্তু সংবিধান জনগণের জন্য, সংবিধানের জন্য জনগণ নয়। সারাবিশ্বে সংবিধানে জনগণ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষা করা হয়েছে। সব সংবিধানের মৌলিক ও নীতিগত দিক হলো রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানে তার উল্টা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রথমে রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল স্বাধীনতার পর বাকশাল কায়েম করে। এখনো তারা ভোটাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা কেড়ে নিয়েছে। সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোট চুরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে সব ষড়যন্ত্র করছে সরকার। বাকশাল করেছে, ৫ম সংশোধনী করেছে। এখন জাতীয় পরিসেবা আইন করেছে। অথচ এ আইন সংবিধানের পুরোপুরি বিরোধী এবং আন্তর্জাতিক আইনেরও বিরোধী।

প্রতিনিয়ত গুম-খুন ও গায়েবি মামলা দিয়ে মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে অভিযোগ করে খসরু বলেন, শেখ হাসিনা ফের নির্বাচনে ভোট চুরির প্রকল্প নিয়েছেন। সে জন্যই খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে। কারণ তিনি বাইরে থাকলে জনগণের আন্দোলনে তাদের নির্বাচনী প্রকল্প ভেসে যাবে। এটাও তাদের নির্বাচনে ভোট চুরির একটি প্রকল্প।

তিনি বলেন, ৪৮ বছর পর জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসলে দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই এটা করা হয়েছে। তারা মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। ভোট চুরি ও জোর করে ক্ষমতায় থাকতে যা কিছু দরকার সবই করছে সরকার। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই তৈরি হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা তারা বিচারককে দিয়ে বাতিল করেছে। তাই আগামীতে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App