×

জাতীয়

এত পর হঠাৎ বিষোদগার কেনো?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম

এত পর হঠাৎ বিষোদগার কেনো?

ছবি: ভোরের কাগজ

স্যাংশনধারী দেশের পণ্য বর্জনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যে প্রশ্ন রেখে বিএনপির মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেনো হঠাৎ করে এতোদিন পরে ওই স্যাংশনের ওপরে বিষোদগার করছেন। তিনি ভালো জানেন যারা স্যাংশন দেয় কিভাবে দেয়। কিছুদিন আগেও কিন্তু স্যাংশনের কারণে রাশিয়ার একটি জাহাজ বাংলাদেশ ফেরত দিয়েছে।

সোমবার (১৫ মে) বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকীর কর্মসূচি প্রণয়নে এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলের ৬টি উপকমিটি গঠন করা হয়।

সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এজেড রিয়াজ উদ্দিন নসু, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখন বাংলাদেশ কি ক্রয় করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে- এটা আমরা সব জানি, তার পরিমান বলুন বা তার ভলিউম বলুন- এটাও আমরা সব জানি। সুতরাং এটা তিনি কেনো বলেছেন তা আমরা সহজে বুঝতে পারি। তিনি সম্ভবত আমরা মনে হয় ইরিটেডেট হয়ে আছেন। কেনো ইরিটেডেট হয়ে আছেন সেটা আমার জানা নেই।

ফখরুল আরো বলেন, জাতিকে তিনি (শেখ হাসিনা) ধারণা দিতে চান যে, এখানে বিকল্প কোনো নেতৃত্ব নেই। সেভাবে তিনি এবার সফরটি করেছেন। এই সফর সম্পর্কে তিনি ধারণা দিতে চান যে, এই সফর সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে যে, এই সফরের রেজাল্ট জিরো প্রায়।

বিএনপি ময়ুর সিংহাসন চায় না:

১০ দফা আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা ময়ুর সিংহাসনের কথা বলেছেন। আমরা ময়ুর সিংহাসনে বসতে অভ্যস্ত নই। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, জনগণের চেয়ারে বসতে অভ্যস্ত।

রিজার্ভ সংকট আরো বাড়বে:

ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় দুইটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু এটাই নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যারা আমদানি করেন যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা তারাও পণ্য আমদানি করতে পারছেন না ডলারের অভাবে। এটার প্রধান কারণ হচ্ছে যে, রিজার্ভের পরিমান এতো কমে গেছে যেটা এখন আমদানি পণ্য কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এটা তো এখনকার অবস্থা। কয়েকদিন পরে তো এই সংকট আরো বাড়বে যখন পদ্মাসেতুর টাকা পরিশোধ করতে শুরু হবে। তখন মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হবে যা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App