সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শরিফুল ইসলাম (২২)।

সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, শরিফুলের শরীরে ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।

গত শনিবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার তেতুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদেরকে ওইদিন বেলা দেড়টার দিকে বার্ন ইনস্টিটাউটে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে শরিফুলের ছেলে সোহাগ (৬), কারখানাটির ব্যবস্থাপক বিল্লাল (৩৫), কর্মচারী নুরনবী (১৮)। আর দগ্ধ আরেকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মৃত শরিফুলের স্ত্রী সোনালী আক্তার জানান, তারা আশুলিয়ার তেতুলতলা এলাকায় থাকেন। তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আর তার স্বামী শরিফুল রিকশাচালক বলে দাবি করেন। ওইদিন সকালে সোনালী গার্মেন্টসে থাকা অবস্থায় খবর শুনতে পান, তাদের বাসায় আগুন লেগেছে, তার স্বামী-সন্তান দগ্ধ হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় একটি টিনসেড ঘরে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপন করে। ঘটনাস্থলে টিনশেডের সাতটি ঘর আছে। পাঁচটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হতো। ধারণা করা হচ্ছে, সেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, সোহাগের শরীরের ২০ শতাংশ, নুর নবীর ৪৩ শতাংশ ও বিল্লালের ৩৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।