হার্ডলাইনে প্রশাসন, ঠেকানো যাচ্ছে না উৎসুক পর্যটক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১২:৫৩ পিএম
ঘূর্ণিঝড় মোকাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রশাসন হার্ডলাইনে থাকার পরেও উৎসুক পর্যটকদের ঠেকানো যাচ্ছে না। ছবি: ভোরের কাগজ
বড় ঢেউ দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসুক জনতার ভিড় শনিবার থেকেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়ায় প্রশাসনের।
রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে ভিড় কিছুটা কম থাকলে, বেলা ১১টার পর থেকে হাজার হাজার লোক বিচপাড়ে অবস্থান নিয়ে সেলফি ও ফেসবুক লাইভ করতে থাকে। পরে হার্ডলাইনে হাটে জেলা প্রশাসন। ট্যুরিস্ট পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে সরিয়ে দেয়া হয় উৎসুক জনতাকে। কিন্তু সুযোগ পেলেই বিচে নেমে পড়ছে শত শত উৎসুক পর্যটকের।
এদিকে, কেমন গতিতে মোখা এগিয়ে আসছে তা দেখতে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে আসেন এসব মানুষ। কিন্তু ভয়াবহ হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে এসব মানুষকে সৈকত থেকে সরিয়ে যেতে বলা হলেও অনেকে তা মানছেন না। শেষ পর্যন্ত পর্যটকরা সমুদ্রপাড় ছাড়লেও সেজন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যদের। তাদের ‘অ্যাকশনে’ সাময়িক ফাঁকা হয়ে হচ্ছে সমুদ্রসৈকত এলাকা। কিছুক্ষণ পর আবার যা তা অবস্থা হচ্ছে।
সকালে সরেজমিন কক্সবাজারের কলাতলী ও সুগন্ধা বিচ ঘুরে দেখা গেছে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের একদল সদস্য যাতে করে কেউ বিচে (সৈকতে) নামতে না পারেন সেজন্য কাজ করছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ সাগরের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। হ্যান্ডমাইকে সাইরেন বাজিয়ে তাদের সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
স্থানীয় অনেককে বীচের কাছে গিয়ে ঘুরে আসতে দেখা গেছে। অবশ্য তাদের দাবি, সমুদ্রের আচরণ সম্পর্কে তারা অনেকটা জানেন। যে কারণে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকায় কাছাকাছি যাচ্ছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকার বিষয়ে সতর্ক করে দেয়ার পর থেকেই পর্যটকরা যেন ঝুঁকিতে না পড়েন সেজন্য কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা।
সমুদ্র উত্তাল থাকলে কাছে যেতে বারণ করতে পর্যটকদের কাছে প্রচারণাও চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। এছাড়া, নিয়মিত টহলও জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোবহান মোল্লা বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী সৈকতে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পর্যটকদের ক্ষতি না হয় সেজন্য কাজ করছি। সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপকতার কথা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যেও কৌতুহলী মানুষ অনেকে এখানে এসেছেন। তাদেরও নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি।