×

সারাদেশ

আ.লীগ ও যুবলীগ ভাঙতে কৌশলী হাতপাখার ষড়যন্ত্র!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১১:২৭ এএম

আ.লীগ ও যুবলীগ ভাঙতে কৌশলী হাতপাখার ষড়যন্ত্র!

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। এ নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। ক্ষমতাসীনদের নিয়ে কৌশলে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে চরমোনাই পীরের এ সংগঠনের বিরুদ্ধে। যদিও সংগঠনটির ‘হাতপাখা’ প্রতীকই চেনেন না নগরীর অনেক বাসিন্দা। রাজনীতিবিদদের কাছেও অচেনা ওই সংগঠন মনোনীত খোদ মেয়রপ্রার্থী!

জানা গেছে, রাজশাহী সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনী সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এতে সমন্বয়কারীর দায়িত্বে রয়েছেন সংগঠনটির মহানগর শাখার সভাপতি তারিফ উদ্দিন। আর মেয়র পদে মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর কমিটির সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী। সম্প্রতি এ দুই নেতা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিয়ে বোমা ফাটান।

রাসিক নির্বাচন ইস্যুতে ভোরের কাগজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে কিছু ভালো লোক আছে, যারা চায় একটা পরিবর্তন। এ পরিবর্তন চাওয়ার কারণেই তারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে চায়। সেজন্য তারা ভোট দেবে হাতপাখায়।’

এ দুই নেতা দাবি করেন, ‘গত নির্বাচনেও আমরা দেখেছি, অনেকে হয়তো নৌকার ক্যাম্পেইন করেছে অথবা বিএনপি নিয়ে ক্যাম্পেইন করেছে; কিন্তু ভোট আমাদের দিয়েছে। যারা কোনো কারণে আওয়ামী লীগ করছে বা কোনো কারণে বিএনপি করছে, তারা স্বার্থের কারণেও করতে পারে, আবার চাকরি বাঁচানোর জন্যও করতে পারে। এই শ্রেণির অনেক লোকই এবার আমাদের ভোট দেবে বা সমর্থন দেবে।’

তবে বাম দলের সমর্থকদের ভোট চান কিনা- এমন প্রশ্নে হা-না কোনো জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান তারা।

তাদের এমন বক্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে নগরীতে। ভোটব্যাংক তৈরির কৌশল হতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

এসব বক্তব্য বিভ্রান্তিকর দাবি করে রাজপথে শক্ত অবস্থান নেয়ার কথা জানিয়েছে যুবলীগ। এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান খান চৌধুরী ইতু ভোরের কাগজকে বলেন, রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তারা এসব বলেছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র রাজশাহীতে টিকবে না, তা রুখে দিতে যুবলীগ যথেষ্ট। জনগণ নৌকাতেই ভোট দেবে।’

সংগঠনটির মহানগর সভাপতি রমজান আলী ভোরের কাগজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা কখনোই হাতপাখায় ভোট দেবে না। তারা অবাস্তব কথা বলছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সংগঠনটির নেতারা। বিভ্রান্তকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে যুবলীগ।

আর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘হাতপাখাকে আমরা কোনো প্রার্থীই মনে করি না। আমাদের কোনো অংশই ওদের সঙ্গে নেই। আমরা পুরো মহানগর আওয়ামী লীগ একসঙ্গে কাজ করছি। তবে আফসোস করে দু-একজন না আসতে পারে।

এ ব্যাপারে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক এবং রাজশাহী মহানগর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন ভোরের কাগজকে বলেন, বিএনপির লোকজন কেন হাতপাখায় ভোট দেবে? আমরা তো নির্বাচনই বর্জন করেছি। আমি রাজশাহীর স্থানীয় বাসিন্দা, ওই দলের কে প্রার্থী হয়েছে? তাদের প্রার্থীকেই আমি চিনি না।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App