×

জাতীয়

রাত সাড়ে ৩টায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় মোকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩, ১১:৫০ পিএম

https://www.youtube.com/watch?v=HBq_NJHMIaQ
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোকা
ঘূর্ণিঝড় মোকার সর্বশেষ অবস্থান দেখুন লাইভ--- মহাবিপদ নিয়ে আজ শনিবার রাত ৩টা ৩২ মিনিটে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় মোকা। যা বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার গতিতে। রাত সাড়ে ৯টায় এ তথ্য জানিয়েছেন বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদ, সাচকিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি বলেন, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি যাবে। পুরো ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাবে। আমি গত ২৪ ঘণ্টায় বারবার বলছি পুরো ঘূর্ণিঝড় সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজরের ওপর দিয়ে যাবে।

শনিবার (১৩ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে অতি ভারী বৃষ্টির হতে পারে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলে। এর প্রভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি ধ্বস আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাত নয়টায় দেয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ সন্ধ্যা ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আজ সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এতে আরো বলা হয়, আজ মধ্যরাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

[caption id="attachment_430197" align="aligncenter" width="700"] শনিবার ঘূর্ণিঝড় মোকা আসার প্রাক্কালে লোকজনকে মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করছে বিজিবি। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

এসময় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিতহতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বাতাসের চাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, মোকার প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি) বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বস হতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App