ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্য উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা ও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক দায়িত্ব পালন করছে তারা।

ইতোমধ্যে হাতিয়া উপজেলার ২৫৫ টি এবং সূবর্ণচর উপজেলার ১৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আনসার ভিডিপি সদস্যদের সহায়তায় প্রায় ৩ লাখ দুর্গত মানুষকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গণসংযোগ কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক (ভিডিপি প্রশিক্ষণ) মো. জাহিদুল ইসলাম শনিবার (১৩ মে) রাতে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় “মোকা”য় সাধারণ জনগণ, পোষা প্রাণী, ঘরবাড়ি, ফসল, মাছের ঘের, প্রাণী সম্পদ ও বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে এবং জন সাধারণের পাশে দাঁড়ানোর নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট জেলা কমান্ড্যার ও ব্যাটালিয়ন অধিনায়ককে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনার আলোকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ও নিজ উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষদেরকে সাহস জোগানো ও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে হাতিয়া উপজেলার ২৫৫টি এবং সূবর্ণচর উপজেলার ১৫১টি আশ্রয় কেন্দ্রে আনসার ভিডিপি সদস্যদের সহায়তায় প্রায় ৩ লাখ দুর্গত মানুষকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের দেখাশোনা ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য ভিডিপি ইউনিয়ন লীডার ও আনসার কমান্ডাররা তৎপর আছে। এছাড়া সেন্ট মার্টিন, সন্দীপ ও ভোলাসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা গুলোতেও সাধারণ মানুষদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে তারা আশ্রয় কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে একজন কমান্ডার-দলনেতার অধীনে ১০ জন করে ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল সদস্যের ছুটি স্থগিত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ইউনিয়ন-ওয়ার্ড দলনেতা ও দলনেত্রী, উপজেলা ও ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারগণ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের মাঝে শুকনো খাবারও বিতরণ করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সদর দপ্তরের অপারেশনস কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সমন্বয় করছে বলে জানান তিনি।