×

মুক্তচিন্তা

বিশেষ বৈজ্ঞানিক সেমিনার > স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি : আমাদের করণীয়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩, ১২:৫৩ এএম

বিশেষ বৈজ্ঞানিক সেমিনার > স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি : আমাদের করণীয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্তে গত ১ ডিসেম্বর জানানো হয় যে, ‘উদ্বেগ, বিষণ্নতা, স্ট্রেস, অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোক জাতীয় সমস্যা নিরসনে যোগ-মেডিটেশনকে বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’ উপরোক্ত নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের জারিকৃত পত্রে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, সব জেলা/সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সব সিভিল সার্জন এবং সব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বলা যেতে পারে, এটি একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এমন এক সময়ে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে যখন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সারা বিশ্বে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার যেখানে ৭১ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে এই হার ৭৩ শতাংশ, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে, প্রায় ৩৬ শতাংশ। (দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১)। মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল ক্যান্সার। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধূমপান, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্রনিক রোগ অন্যতম। গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এর প্রধান কারণ আমাদের জীবনদৃষ্টি ও জীবনাচারে আমূল পরিবর্তন। নেতিবাচক জীবনদৃষ্টি, স্ট্রেস, সামাজিক অস্থিরতা, সম্পর্কের জটিলতা, পারিবারিক অশান্তি, অর্থনৈতিক অতৃপ্তি ইত্যাদি কারণে যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে; অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ও শারীরিক পরিশ্রমহীনতার কারণে হৃদরোগ এমনকি হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত ঘটে যাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ৫ জনে ১ জন উচ্চ রক্তচাপে এবং প্রতি ১০ জনে ১ জন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত (দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৪ ডিসেম্বর ২০২২ এবং দৈনিক প্রথম আলো, ২১ জানুয়ারি ২০২০)। আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের অফিসিয়াল জার্নাল ঈওজঈটখঅঞওঙঘ-এ গত ৯ মার্চ ২০২১ প্রকাশিত এক বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে নানাবিধ নেতিবাচক আবেগ ও আচরণ দূর করতে মেডিটেশন ও কাউন্সেলিংয়ের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে। শুধু হৃদরোগ নয় বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাইকোসোমাটিক বা মনোদৈহিক রোগসহ বহু রোগের পেছনের কারণ হচ্ছে নেতিবাচক আবেগ। যেমন- বিষণ্নতা, বদমেজাজ, দুর্ব্যবহার, অনিদ্রা, বাত-ব্যথা, আইবিএস, হাইপারঅ্যাসিডিটি, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ঘাড়ে ব্যথা, স্ট্রোক, কাঁধে ব্যথা, পিঠে ব্যথা ইত্যাদি। গরহফ-ইড়ফু ওহঃবৎধপঃরড়হ বা শরীর-মনের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কার্ডিওলজির প্রফেসর ডা. হার্বার্ট বেনসন। দেহের ওপর মনের প্রভাব দেখে তিনি এত বিস্মিত হন যে, পরবর্তীতে তিনি এ নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেন এবং ৩টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। শরীর-মনের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞানের একটি নতুন শাখা চালু হয়েছে- ঞযব ঘবি ঝপরবহপব ড়ভ গরহফ ্ ইড়ফু. বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষ যখন ভাবাবেগজনিত চাপ বা উৎকণ্ঠার সম্মুখীন হন তখন কিডনির অগ্রভাগের এড্রেনাল গø্যান্ড থেকে তিনটি হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়, যা স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত। ফলে হার্ট বিট বৃদ্ধি, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুততর হওয়া, বিপাক ক্রিয়ার হার বৃদ্ধি এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। পক্ষান্তরে মেডিটেশনের ফলে ঠিক এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয়। এতে হার্ট বিট, শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তচাপ স্বাভাবিক হয় এবং বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়। শরীর-মনের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে প্রফেসর ডা. হার্বার্ট বেনসনের যুগান্তকারী বই ঞযব জবষধীধঃরড়হ জবংঢ়ড়হংব বইটিতে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ রোগের কারণ হতে পারে মানসিক এবং এসব রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে মেডিটেশন দারুণ কার্যকর হতে পারে। বেলজিয়ামের লিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের প্রখ্যাত নিউরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. স্টিভেন লরিস মেডিটেশনের অভাবনীয় ফলাফলের ওপর ব্যাপক গবেষণা করেন এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল তার ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার বই ঞযব হড়-হড়হংবহপব সবফরঃধঃরড়হ নড়ড়শ-এ তুলে ধরেন। মেডিটেশনকে তিনি অভিহিত করেন জবঃঁহব ড়ভ ঃযব ইৎধরহ হিসেবে। তিনি বলেন, মেডিটেশন হচ্ছে মস্তিষ্কের ব্যায়াম। দৌড়ালে যেমন পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়, সাঁতার কাটলে বাইসেপ শক্তিশালী হয়; তেমনি নিয়মিত মেডিটেশন করলে মস্তিষ্কের কিছু অংশের এৎধু গধঃঃবৎ-এর ভলিউম ও কার্যকারিতা বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের একদল চিকিৎসক মেডিটেশন নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা শেষে বলেন, উববঢ় জবষধীধঃরড়হ বা গভীর শিথিলায়ন জেনেটিক লেভেলে পরিবর্তন আনতে সক্ষম। (রিডার্স ডাইজেস্ট ২০১০)। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, জনস হপকিন্স এবং এমআইটির গবেষকরা মেডিটেশনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা শেষে প্রকাশিত নিবন্ধে বলেন, ‘উদ্বেগ, বিষণ্নতা, স্ট্রেস, অনিদ্রা, ক্রনিক ব্যথা ইত্যাদি নিরাময়ে মেডিটেশন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।’ বিশ্বব্যাপী মেডিটেশন নিয়ে যে শত শত গবেষণা হয়েছে তার ফলাফল নিয়ে বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ নিবন্ধ প্রকাশ করে ঞযব ঝপরবহপব ড়ভ গবফরঃধঃরড়হ (৪ আগস্ট ২০০৩)। মার্কিন বিজ্ঞান সাময়িকী ঝপরবহঃরভরপ অসবৎরপধহ প্রচ্ছদ নিবন্ধ প্রকাশ করে ঞযব ঘবঁৎড়ংপরবহপব ড়ভ গবফরঃধঃরড়হ (২০১৪)। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ তাদের প্রেসক্রিপশনে মনোদৈহিক রোগসহ বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে মেডিটেশন চর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঘধঃরড়হধষ ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ ঐবধষঃয [ঘওঐ] যে কয়েকটি বিষয়কে অল্টারনেটিভ মেডিসিন বা বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে তাদের তালিকায় মেডিটেশনকে অন্যতম হিসেবে রেখেছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ঝঅঞণঅগ বা ‘সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অব ইয়োগা এন্ড ম্যানেজমেন্ট’ নামে গবেষণা প্রকল্প চালু করেছে। দিল্লি সরকার স্থাপন করেছে ‘সেন্টার ফর মেডিটেশন এন্ড ইয়োগা সায়েন্সেস’। দিল্লির সরকারি স্কুলগুলোতে চালু হয়েছে মেডিটেশন নির্ভর কার্যক্রম ‘হ্যাপিনেস কারিকুলাম’। বাংলাদেশে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চশিক্ষার পথিকৃৎ প্রয়াত চিকিৎসাবিজ্ঞানী জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম কোয়ান্টাম মেথডের প্রথম অডিও ক্যাসেট শিথিলায়নের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অস্থির-অশান্ত আধুনিক মানুষের জীবনে প্রশান্তির সুবাতাস আনতে পারে মেডিটেশন, যা পাশ্চাত্যে বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃত। তাই আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিপূরক হিসেবে কোয়ান্টাম মেথড চমৎকার কাজ করতে পারে। যেসব রোগে ওষুধের প্রয়োজন নেই কোয়ান্টামই হতে পারে তা নিরাময়ের সার্থক বিকল্প।’ পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১০-১৩ জুন কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে অংশগ্রহণ শেষে কোর্সের প্রত্যয়ন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কোয়ান্টাম মেথড আধুনিক চিকিৎসার পরিপূরক। আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি কোয়ান্টাম মেথড চর্চার মাধ্যমে রোগমুক্তি ও প্রশান্তি অর্জন সহজ হবে। আর এ বিষয়টিকে আমরা যত সহজে গ্রহণ করতে পারব, এর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারব আমাদের জীবন তত প্রশান্তিময় হবে এবং রোগমুক্তি হবে সহজ। আমি মনে করি, এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা হওয়া উচিত।’ বরেণ্য চিকিৎসাবিজ্ঞানী বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক তার ‘জীবনের কিছু কথা’ বইতে লিখেছেন, ‘মনের প্রভাব শরীরের ওপর পড়ে। কাজেই আমাদের যতদূর সম্ভব দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করা উচিত। এজন্য নামাজ, প্রার্থনা, মেডিটেশন, রিলাক্সেশন করা উচিত।’ ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ মিলিতভাবে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য তৈরি ন্যাশনাল গাইডলাইনে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় চিকিৎসকরা যেন রোগীদের ইয়োগা, মেডিটেশন ও দম চর্চার পরামর্শ দেন সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জার্নাল বা ম্যাগাজিন নয়, চিকিৎসাবিজ্ঞানের টেক্সট বইতেও মেডিটেশন স্থান করে নিয়েছে। ইৎধঁহধিষফ’ং ঐবধৎঃ উরংবধংব বইয়ে দেহ-মনে মেডিটেশনের ইতিবাচক প্রভাব ও কার্যকারিতার উল্লেখ করা হয়েছে। আনন্দের সংবাদ হচ্ছে যে, আমাদের দেশেও মেডিটেশন এখন থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার বিভাগের স্বীকৃত অল্টারনেটিভ মেডিসিন বা পরিপূরক চিকিৎসা পদ্ধতি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থার সহায়ক হিসেবে যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্তির এমন সিদ্ধান্তে লাখো মেডিটেশন চর্চাকারীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) দেয়া সুস্বাস্থ্যের যুগান্তকারী সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল, শুধু শারীরিকভাবে সুস্থ হলেই চলবে না, পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রয়োজন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক সুস্থতা। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, এ চার ক্ষেত্রেই সুস্থতা অর্জনে যোগ-মেডিটেশন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত মেডিটেশন ও ইয়োগা চর্চা এবং সুস্থ জীবনাচার অনুসরণ আমাদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক ফিটনেস অর্থাৎ টোটাল ফিটনেস অর্জনে সাহায্য করবে। ফলে ধীরে ধীরে আমরা সুস্থ কর্মময় দীর্ঘজীবনের পথে এগিয়ে যাব। তাই আসুন, নিজে নিয়মিত মেডিটেশন ও ইয়োগা চর্চা করে টোটাল ফিটনেস অর্জনের চেষ্টা করি। আর আমাদের কাছে যারা বিভিন্ন শারীরিক ও মনোদৈহিক সমস্যা নিয়ে আসবেন তাদের বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত মেডিটেশন, ইয়োগা ও দমচর্চার পরামর্শ দিই। (রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি মিলনায়তনে গতকাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে ‘স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক বিশেষ বৈজ্ঞানিক সেমিনারে পঠিত মূল প্রবন্ধের সংক্ষেপিত অংশ)

ডা. মনিরুজ্জামান : কো-অর্ডিনেটর, কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App