×

সারাদেশ

পানির নিচে চলে যাবে সেন্টমার্টিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩, ১১:০০ পিএম

https://www.youtube.com/watch?v=HBq_NJHMIaQ&t=18s

ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। ঘূর্ণিঝড় মোকা সরাসরি আঘাত হানবে সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমার উপকূলে এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপের বড় একটি অংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যেতে পারে। যারা সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়ে আছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা না হলে প্রাণহানির সম্ভাবনাও রয়েছে।

এ গবেষকের পর্যবেক্ষণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার পূর্বাভাস মডেলের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোকা স্থলভাগের প্রথম যে স্থানটিতে আঘাত করবে তা হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এই জলোচ্ছ্বাসের কারণে দ্বীপের সম্পূর্ণটাই প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দ্বীপে ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দ্বীপটির বড় অংশ ভেঙে যেতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক বিজ্ঞানী ড. আবদুল মান্নান বলেছেন, মোকার প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পানির নিচে চলে যাবে, এটা নিশ্চিত। তবে সেটা স্থায়ীভাবে নয়। ৫ থেকে ৭ ফুট জলোচ্ছ্বাস হলে তো সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভেসে থাকার কথা নয়। শুধু জলোচ্ছ্বাস নয়, আজ থেকে আগামীকাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে ভরা জোয়ার আছে। সব ঘূর্ণিঝড় অমাবস্যা অথবা পূর্ণিমাতে আসে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে জোয়ারের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি হয়।

তিনি আরো বলেন, সেন্টমার্টিনে আজ শনিবার ভরা জোয়ার থাকবে এবং আগামীকাল রবিবার কিছুটা কমবে। এবার সেন্টমার্টিনের জোয়ার কিন্তু পিক টাইমই ফলো করছে। মানে মোখা উপকূলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই জলোচ্ছ্বাস শুরু হবে। সাধারণত কোনো এলাকার ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় গেলে মিনিমাম ওইসব এলাকায় ৬ ঘণ্টা তাণ্ডব চলে। ফলে সব স্থাপনাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ, ওখানে কিন্তু বড় কোনো বাউন্ডারি করা হয়নি। সুতরাং, সেন্ট মার্টিনের বড় ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App