×

সাহিত্য

বাংলাদেশের নাট্যান্দোলন সংস্কৃতির ধারাকে প্রসারিত করবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৩, ১০:৩২ পিএম

বাংলাদেশের নাট্যান্দোলন সংস্কৃতির ধারাকে প্রসারিত করবে

ছব: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশের নাট্যান্দোলন সংস্কৃতির ধারাকে প্রসারিত করবে

‘সুন্দরের তীর্থ পথে শতবর্ষ পরেও তাহারে আমরা পরম পাথেয় মানি’ স্লোগানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ভাষাসংগ্রামী, শিক্ষাবিদ ও নাট্যব্যক্তিত্ব প্রয়াত সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ মে) বিকেল পাঁচটায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, মামুনুর রশিদ, পদাতিক সভাপতি সৈয়দ তাসনিন হোসাইন তানু। উদ্বোধনী আসরে চারজন নাট্যব্যক্তিত্বকে সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন বঙ্গঁজিৎ দত্ত (মরণোত্তর), দেবপ্রসাদ দেবনাথ, মাসুম আজিজ (মরণোত্তর) ও তারিক আনাম খান।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলন আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারাকে প্রসারিত করবে, যা কিনা বিশ্ব সংস্কৃতির অঙ্গনে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নাটক অগ্রগামী ও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকে যার জুড়ি মেলা ভার।

তিনি আরো বলেন, সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশের নাটক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বাংলাদেশের নাটক রেখেছে। আর্থ-সামাজিক অবস্থার সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিত্র নাটকে প্রতিফলিত হয় বলেই নাটক সমাজের দর্পণ। একটি সমাজ মূল্যায়ণ করা হয় এই সমাজের সাহিত্য শিল্পকলা নাটক, পথনাটক, সংগীত ও সাংস্কৃতিক বিষয় দিয়ে। নাটক সমাজ, রাষ্ট্র ও ইতিহাসের কথা বলে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পূর্বে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নাটক, নাট্যকার, নাট্য কর্মীরা ঐতিহাসিক অবদান রেখে গেছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

মামুনুর রশীদ বলেন, ঢাকায় পল্লবী থেকে বাংলামটর পর্যন্ত কোনো লাইব্রেরি নেই। এ এলাকাগুলোতে নাটক করার জন্য যথাযথ মঞ্চ নেই। শুধু তাই নয়, শিল্পকলা একাডেমী দেশজুড়ে যে মঞ্চগুলো করেছে সেগুলো অভিনয় উপযোগী নয়। শিল্পকলা একাডেমীতে জাতীয় নাট্যশালা ও এক্সপেরিমেন্টাল হলে লাইটের সমস্যা রয়েছে। সাউন্ডের সমস্যা রয়েছে। আমাদের পাঠ করার জায়গা না থাকলে, অভিনয়ের জায়গা সঙ্কুচিত হয়ে গেলে মানুষের মূল্যবোধ কিভাবে গড়ে উঠবে?

কেএম খালিদ বলেন, সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইন ছিলেন একজন মাটির মানুষ ছিলেন। যার আশ্রয় আর প্রশ্রয়ে থেকে আমরা সংস্কৃতি কর্মকাণ্ড করেছি।

নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, যা কিছু সুন্দর মঙ্গলময় তা কখনো মুছে যায় না। শিল্পকলা নাটক ও যা কিছু সুন্দর তা বঙ্গবন্ধুর চেতনায় ছড়িয়ে দিতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চস্থ হয় সুন্দরম প্রযোজিত নাটক ‘নৈশব্দ্যে ৭১’, এক্সপেরিমেন্টালে পদাতিক নাট্য সংসদের ‘পাকে বিপাকে’ ও স্টুডিও থিয়েটারে ভারতের কসবা অর্ঘের নাটক ‘ম্যাকবেথ বাদ্য’। এবার উৎসবে অংশ নিচ্ছে নাট্যকেন্দ্র, আরণ্যক, প্রাচ্যনাট, লোকনাট্য দল, সুন্দরম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগ, অনুস্বর, থিয়েটার ফ্যাক্টরি, শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র, বটতলা, নাট্যম রেপার্টরি, ম্যাড থেটার, ঢাকা পদাতিক, ভারতের চাকদাহ নাট্যজন, কসবা অর্ঘ, টেন্থ প্ল্যানেট থিয়েটার গ্রুপ, বাগুইহাটি নৃত্যমন্দির।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App