বাউফলে ‘মোকা’ ঝুঁকিতে চরাঞ্চলের ৩০ হাজার বাসিন্দা

আগের সংবাদ

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র নিহত

পরের সংবাদ

জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার শিশুরা

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩ , ৬:৩৫ অপরাহ্ণ আপডেট: মে ১২, ২০২৩ , ৬:৩৫ অপরাহ্ণ

দেশে বহুধারার শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশুদের মাঝে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। শিশুদের এক অংশ বড় হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে আরেক অংশ জানে না স্বাধীনতা কী। মানবিক মূল্যবোধের জায়গায়, ধর্মান্ধ হয়ে বড় হচ্ছে শিশুরা। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানা সঙ্কটের শিকার হচ্ছে শিশুরা। তাই সকল শিশুর শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

কেন্দ্রীয় খেলাঘর আয়োজিত ‘শিশুর বাসযোগ্য নিরাপদ বাংলাদেশ: আমাদের করণীয় ‘ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রির্পোর্টাস ইউনিটিতে এই সেমিনারের আয়োজনা করা হয়। খেলাঘরের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ মাহফুজা খানম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, চাদেরহাটের সাধারণ সম্পাদক শামিম পারভেজ, খেলাঘরের রেসিডিয়াম সদস্য ডা. লেলিন চৌধুরী। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশু সংগঠক ও সাবেক জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও খেলাঘর বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি পঙ্কজ রায় চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধে শিশুর বাসযোগ্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দশটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো-সকল শিশুর জন্য অর্থনৈতিক সমতা নিশ্চিত করা, মা-বাবা ও পরিবারের পরিচর্যা ও ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার শোষণ, নির্যাতন, বঞ্চনা থেকে নিরাপদ রাখা, মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পরিবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানা সঙ্কট মোকাবেলা, দূর্যোগকালীন অবস্থায় ত্রাণলাভের ক্ষেত্রে শিশুদের অগ্রাধিকার দিতে হবে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের জন্য লাইব্রেরি ব্যবহার, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও খেলার মাঠ ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগারকে আধুনিকীকরণসহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া, শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করা (টিকটক, লাইকি, বিগোসহ অনলাইন গেইম ব্যবহারে বিধিনিষেধ নিশ্চিত করা।

মাহফুজ খানম আরো বলেন, শিশুদের এক অংশ বড় হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে আরেক অংশ জানে না স্বাধীনতা কি? তারা কিভাবে বড় হচ্ছে? চোখের সামনে কি দেখছে? সেটাও বড় বিষয়। মানবিক মূল্যবোধের জায়গা নেই, ধর্মান্ধ হয়ে বড় হচ্ছে। তাদের কথা সরকার কি ভাবছে?

তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলি। সেটা কি? আমি তো বুঝি না। আমিতো দেখি আমার কাজের মহিলার মেয়েটাও ফোনে ইউটিউব দেখতে পারে, লক খুলতে পারে। স্মার্টনেস আসলে কতটুকু বাড়ছে? আইনের প্রতি ভয়, শ্রদ্ধা তাদের নেই।

শেরিফা কাদের বলেন, বাসায় শিশুকে দেখাশুনার জন্য খেলার সাথী আরেকটা শিশুকে নিয়ে আসি। তাকে দিয়ে আরো অনেক কাজ করাই। তার সঙ্গে আমরা খারাপ ব্যবহার করি। গ্যারেজে মা-বাবা কাজ শেখাতে পাঠায় শিশুদের। ওদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়। বাচ্চাদের সেল্ফ রেসপেক্ট তাকে শেখানো উচিত। শিশুর প্রতি সব বৈষম্য নিরসন করতে হবে।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, মেধার নামে অর্থনৈতিক বৈষম্য করা হচ্ছে। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে যেতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমতে থাকে। বিভাজন বাড়তে থাকে। তাহলে শিশুদের ভবিষ্যৎ কি? দুধ, ডিম খাওয়ানোর টাকা নেই শিশুকে। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে তাহলে আমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছি? শিশুদের গড়ে তুলার পেছনে অভিভাবক থেকে রাজনীতিবিদ সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। শিশুদের নিয়ে পলিসি কি হবে তা ঠিক করতে হবে।

ডি- এইচএ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়