×

সারাদেশ

বিএনপির সাইদ রহস্যে রাজনীতিতে ভিন্ন মোড়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ১২:১১ পিএম

বিএনপির সাইদ রহস্যে রাজনীতিতে ভিন্ন মোড়

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সাইদ রহস্যে রাজনীতিতে ভিন্ন মোড়

ছবি: রাজশাহী অফিস

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে পারেন বিএনপির সাবেক নেতা সাঈদ হাসান। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে সপ্তাহখানেক সময় চান তিনি। তার প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে নতুনভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে। হালকাভাবে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী আমেজে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তবে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে সাঈদের পক্ষে বিএনপির কোনো সমর্থন থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

জানা গেছে, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন সাঈদ হাসান। পরে রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হন। ভিপি থাকা অবস্থায় আশির দশকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন। পরে তিনি সভাপতি হন মহানগর ছাত্রদলের। ২০১১ সালে মহানগর বিএনপির কমিটিতে মিজানুর রহমান সভাপতি ও শফিকুল হক মিলন সাধারণ সম্পাদক হলে ওই কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক করা হয় সাঈদকে।

২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও সাঈদ হাসান রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তোলেন। বিএনপি দুজনকেই মনোনয়ন দেয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দুজনই মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন। পরে মিনুর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হলে সাঈদ নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। সাঈদের ভাই নাদিম রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। সাঈদ বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চালান।

প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি ভোরের কাগজের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন সাঈদ হাসান। তিনি জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্ত নেননি। বিগত নির্বাচনগুলোর যা অবস্থা, সেগুলো দেখছেন। সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

বিএনপির সমর্থন ও দলটির হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগের প্রশ্নে সাঈদ হাসান বলেন, ‘দল তো নির্বাচন করবে না, সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছে। দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। বিএনপি থেকে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘চারদিক থেকে প্রেশারে আছি, বিশেষভাবে জনগণের দিক থেকে। তারা ভাল একজন প্রার্থী চান। তবে সুষ্ঠু ভোট হবে কি-না এনিয়ে আমারও সংশয় আছে। যে কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমি চিন্তাভাবনা করছি। ভবিষ্যৎ ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেব।’

নগরবাসীর উদ্দেশ্যে সাঈদ হাসান বলেন, ‘অতীতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করিনি, যাতে আমাকে সমালোচিত হতে হয়েছে। সব দলের সমান সুযোগ-সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত করা ও নগরীর উন্নয়নের জন্যই নাগরিকরা আমাকে ভোট দেবে।’

নির্বাচনে সাঈদের প্রার্থিতা প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা বলেন, ‘সাঈদ তো বিএনপির কমিটিতে নেই। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। সাঈদ প্রার্থী হলেও আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা তো ভোটই দিতে যাব না।’

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে তাদের নেতাকর্মীরা আরও বেশি সক্রিয়। কোনো প্রার্থীকেই হালকাভাবে নিচ্ছে না দলটি। যদিও জয় হবে নৌকারই- এটা জানা কথা।

এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ভোরের কাগজকে বলেন, ‘হালকাভাবে নিচ্ছি না। তবে রাজশাহী সিটিতে আওয়ামী লীগেরই জয় হবে, সেটা বিপুল ভোটে।’

এদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার (১০ মে) দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

নগর ভবনের অ্যানেক্স হলরুমে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় লিটন বলেন, আমি নগরপিতা নির্বাচিত হয়ে নান্দনিক শহর গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। যা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। আগামী দিনে রাজশাহীতে কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য জোর দিচ্ছি। আশা করা যায়, সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়ন হবে।

[caption id="attachment_429438" align="alignnone" width="1280"] ছবি: রাজশাহী অফিস[/caption]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App