×

আন্তর্জাতিক

ইমরান সমর্থকদের এবারের বিক্ষোভ পাকিস্তানের ইতিহাসে কেন ব্যতিক্রম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম

ইমরান সমর্থকদের এবারের বিক্ষোভ পাকিস্তানের ইতিহাসে কেন ব্যতিক্রম
ইমরান সমর্থকদের এবারের বিক্ষোভ পাকিস্তানের ইতিহাসে কেন ব্যতিক্রম

ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর লাহোর সেনানিবাস এলাকার এই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স

ইমরান সমর্থকদের এবারের বিক্ষোভ পাকিস্তানের ইতিহাসে কেন ব্যতিক্রম

ছবি: সংগৃহীত

ইমরান সমর্থকদের এবারের বিক্ষোভ পাকিস্তানের ইতিহাসে কেন ব্যতিক্রম

ছবি: সংগৃহীত

ইমরান সমর্থকদের এবারের বিক্ষোভ পাকিস্তানের ইতিহাসে কেন ব্যতিক্রম

ছবি: সংগৃহীত

ইমরান সমর্থকদের এবারের বিক্ষোভ পাকিস্তানের ইতিহাসে কেন ব্যতিক্রম

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দুর্নীতি মামলায় গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশটিতে সহিংস গণবিক্ষোভ চলছে। এতে কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এর আগেও ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা হয়েছে। তখনো বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের বিক্ষোভকে ‘ব্যতিক্রমী’ বলছেন বিশ্লেষকেরা।

পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ও সেনানিবাস ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকেরা, যা ছিল দেশটির ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’।

[caption id="attachment_429617" align="aligncenter" width="806"] ছবি: সংগৃহীত[/caption]

পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই গণবিক্ষোভকে ‘ব্যতিক্রমী’ বলছেন সাংবাদিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী বিশেষজ্ঞ তাহির খান। আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইমরান খানের দলের একধরনের ‘স্টেট পাওয়ার’ আছে। তিনি বলেন, এ ধরনের ত্বরিত প্রতিক্রিয়া সাম্প্রতিক সময়ে আমি দেখিনি-একটি দলের কর্মীদের দেওয়া জবাব, বিশেষ করে এ ধরনের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে।

পাকিস্তানি এই সাংবাদিক বলেন, পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। বিষয়টি এখন মারাত্মক পর্যায়ে গড়িয়েছে। আমি মনে করি না, এই বিক্ষোভ থামবে। কারণ, পিটিআই ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে, ইমরান খান চূড়ান্ত সীমা (রেড লাইন)।

[caption id="attachment_429609" align="aligncenter" width="832"] ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর লাহোর সেনানিবাস এলাকার এই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স[/caption]

সামরিক বাহিনীর প্রতি এ ধরনের জনরোষ চোখ এড়ায়নি দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন গবেষক মাইকেল কুগেলম্যানেরও। এক টুইটে তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতি এমন পর্যায়ের জনরোষ বহুদিন দেখা যায়নি। সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় জনগণের হামলা ও সামরিক সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়ার আজকের চিত্র কয়েক বছর আগে কল্পনাও করা যেত না। এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের নাটকীয় পরিবর্তন।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার লাহোরে সেনানিবাসসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনাকে দেশের ইতিহাসে ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে স্মরণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছে সেনাবাহিনী। বুধবার পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়েছে।

[caption id="attachment_429613" align="aligncenter" width="775"] ছবি: সংগৃহীত[/caption]

বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরপরই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ সময় সেনাবাহিনীবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। এভাবে কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেওয়া হবে না।

আইএসপিআর বলছে, একদিকে নিজেদের সংকীর্ণ ও স্বার্থপর উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই দুর্বৃত্তরা জাতির আবেগ নিয়ে খেলছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর গুরুত্ব তুলে ধরে তারা জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করছে। এটা প্রতারণার একটি উদাহরণ।

[caption id="attachment_429611" align="aligncenter" width="809"] ছবি: সংগৃহীত[/caption]

আইএসপিআরের আগের দিন দেওয়া এক বিবৃতিতে ইমরান খানের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভিত্তিহীন’ অভিযোগের নিন্দা জানানো হয়। জবাবে ইমরান খান বলেন, ‘এখান থেকে রওনা হওয়ার আগে আমি দুটি বিষয় বলতে চাই। প্রথমত, আইএসপিআর এক বিবৃতিতে বলেছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে (সামরিক বাহিনী) অসম্মান করা হচ্ছে। আমাকে দুবার হত্যার চেষ্টা করা গোয়েন্দা কর্মকর্তার নাম বলায় সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

ইমরান খান বলেন, আইএসপিআর সাহেব, মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনুন। সম্মানের বিষয়টি কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়, সব নাগরিকের প্রতি সম্মানবোধ থাকা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘এই লোক আমাকে দুবার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। যখনই কোনো তদন্ত হোক না কেন, আমি প্রমাণ করে দিতে পারব, ইনিই ছিলেন সেই লোক এবং তাঁর সঙ্গে পুরো একটি চক্র আছে।

গত বছরের নভেম্বরে ইমরান খান গাড়িবহর নিয়ে ইসলামাবাদে লংমার্চ করার সময় গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় তাঁর পায়ে একাধিক গুলি লাগে। তবে এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া সাবেক এই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App