×

সারাদেশ

আখাউড়ার বাজারে অপরিপক্ক লিচু, না খাওয়ার পরামর্শ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম

আখাউড়ার বাজারে অপরিপক্ক লিচু, না খাওয়ার পরামর্শ

ছবি: ভোরের কাগজ

আখাউড়ার বাজারে অপরিপক্ক লিচু, না খাওয়ার পরামর্শ

লিচু পরিপক্ক হতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বাজারে উঠতে শুরু করেছে এ ফলটি। মৌসুমের নতুন ফল হওয়ায় অনেকেই কিনছেন। আবার অনেকে বেশি দাম ও অপরিপক্ক হওয়ায় কিনছেন না। এ দিকে অপরিপক্ক এসব লিচু না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও চিকিৎসক।

আখাউড়া পৌরশহরের সড়কবাজার ও পুরাতন মায়াবী সিনেমা হলের মোড়ে মৌসুমী ফল লিচুর পসরা সাজিয়ে বসেছেন কয়েকজন ফল বিক্রেতা। দেশি জাতের প্রতি ১০০ লিচু আড়াই শ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা।

লিচুর ক্রেতা হারাধন সাহা জানান, মৌসুমের নতুন প্রথম ফল কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। আকারে ছোট হলেও দাম প্রতি শ ৩০০ টাকা। পরে দর দাম করে আড়াই শ টাকা দিয়ে কিনলাম।

পৌরশহরের রাধানগর গ্রামের আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক জানান, গত দুই দিন আগে শখ করে বাজার থেকে এক শ লিচু কিনেছিলাম। তবে বাড়িতে নিয়ে দেখি এসব লিচুর ভিতরে কিছুই নেই, না মিষ্টি, না টক, বিস্বাদ মনে হয়েছে। আমার মনে হয় আরো কয়েকদিন পরে কিনলে ভালো হতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফল বিক্রেতা জানান, এসব লিচু ১৮০-২০০ টাকা শ দরে আমাদের কিনা। বিক্রি করছি আড়াই শ থেকে ৩০০ টাকা শ দরে। অনেকে মৌসুমের নতুন ফল দেখে কিনছেন, আবার অনেকে অপরিপক্ক দেখে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে আমরা পরিচিত কারো কাছে এ ফল বিক্রি করছি না।

আখাউড়া সড়ক বাজারের ফলের আড়তদার জসিম উদ্দিন রাজু জানান, বাজারের কয়েকজন ফল বিক্রেতা বেশি লাভের আশায় এসব অপরিপক্ক লিচু কিনে এসে বিক্রি করছেন। আসলে লিচুর পরিপক্কতা হতে আরো ১০/১২ দিন সময় লাগবে। লিচুর বাজার এখনও জমে উঠেনি বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, উপজেলায় এবার ৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করা হয়েছে। এখনও লিচু পুরোপুরি পাকেনি। আগামী ১৫ থেকে ২০ জুনের মধ্যে আগাম দেশি জাতের লিচু গাছ থেকে নামাতে শুরু করবে চাষীরা। ২০ তারিখের পর থেকে নিয়মিত এ জাতের লিচু বাজারে পাওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, বাড়তি দামের আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই কিছু বিক্রেতা লিচু বাজারে আনছেন। আমরা সাধারণ মানুষকে এ ধরনের অপরিপক্ক লিচু না খেতে নিরুৎসাহিত করছি। এসব লিচু দ্রুত পাকার জন্য টি, জি, আর হরমোন ব্যবহার করা হয়। যা দেহের জন্য ক্ষতিকর। সব ফলেরই পরিপক্ক হওয়ার সময় থাকে। পরিপক্ক না হলে সেটি কোনো দিক দিয়েই ভালো নয় বলে জানান উপজেলা কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, এসব অপরিপক্ক লিচুতে কেমিক্যাল ব্যবহার করে পাকানো হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অপরিপক্ক লিচু খেলে পেটের পীড়া,বদহজম, কিডনী সমস্যাসহ আরো নানা ধরনের মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বাজারে উঠা এসব অপরিপক্ক ফল না খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App