পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্কতা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তার ও দেশটির বিভিন্ন শহরে সহিংস সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে এই ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিন দেশ তাদের নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে, পাকিস্তানে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খবর জিও নিউজের।

ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে পিটিআই। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দলটির সমর্থকরা প্রতিবাদ বিক্ষোভের পাশাপাশি অনেক জায়গায় রাস্তা অবরোধ ও দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন।

ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, করাচি, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার ও মারদানসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই কর্মীরা। করাচিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পাথর ছোড়ার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।

পাকিস্তানের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশটিতে থাকা কানাডিয়ান মিশন বলেছে, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানে উচ্চমাত্রার সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সন্ত্রাস, নাগরিক অস্থিরতা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং অপহরণের হুমকিও রয়েছে।’

কানাডীয় মিশন তাদের নাগরিকদের ‘সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে’ করাচি ভ্রমণ এড়াতেও পরামর্শ দিয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাস তাদের কনস্যুলার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করেছে একদিনের জন্য। সেই সঙ্গে বলে দিয়েছে, তারা ইসলামাবাদ ও অন্যান্য এলাকায় সংঘর্ষের প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করছে।

মার্কিন মিশন দেশটির নাগরিকদের ‘উচ্চতর সতর্কতা অবলম্বন করতে ও বিশাল জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলার’ পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া, নাগরিকদের তাদের ‘ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা’ ‘পর্যালোচনা’ করার জন্য, তাদের সঙ্গে শনাক্তকরণ নথি বহন করার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুরোধ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যও পাকিস্তানে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের ভ্রমণের বিষয়ে পরামর্শ হালনাগাদ করেছে। ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার অ্যান্ড্রু ডালগ্লিশ তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত সতর্কতা ও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।