×

সারাদেশ

দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ৩

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ০৮:৪৮ পিএম

দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ৩

ক্ষেতলালে আটক প্রতারক চক্রের তিন সদস্য। ছবি: ভোরের কাগজ

ক্ষেতলালে সরকারি দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আমির চাঁদ (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে ৫ সদস্যের এক প্রতারক চক্র। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ধাওয়া করে ওই চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। মঙ্গলবার (৯ মে) উপজেলার ঐতিহাসিক আছরাঙ্গা দীঘির পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আমির চাঁদ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ী গ্রামের ছাইফুল ইসলাম এর ছেলে। সে শাহজাদপুর সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র।

আটককৃতরা হচ্ছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে একরাম হোসেন বাবু (৩৫), মামুদপুর সরদার পাড়া গ্রামের আমিনুর সরদারের ছেলে রানা (২৫) এবং ধনতলা গ্রামের তোজাম আকন্দের ছেলে পলাশ হোসেন (২৫)।

জানা গেছে, আমির চাঁদের সঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলার একজনের ফেসবুকে পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন সরকারি দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দেন এবং ভিকটিম আমির চাঁদকে বিজিবিতে সিভিল স্টোর কিপার পদে চাকরি দিতে চেয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমির চাঁদ সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে তাকে টাকা দিতে রাজিও হন। এ জন্য ফেসবুকে পরিচয় দেয়া ব্যক্তির সঙ্গে টাকা দেয়ার পূর্বে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্বশরীরে দেখা করতে চাইলে প্রতারক চক্রের সদস্য তাকে ক্ষেতলাল উপজেলায় আসতে বলে।

সে ক্ষেতলাল আসলে তাকে কয়েকজন মিলে ওই উপজেলার দর্শনীয় স্থান ঐতিহাসিক আছরাঙ্গা দীঘিতে নিয়ে যায়। আমির চাঁদকে ওই দীঘিতে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। উপায় না পেয়ে জীবন বাঁচাতে নিজ মোবাইল থেকে বাবা ছাইফুল ইসলামকে ফোন করে চাকরি হয়েছে জানিয়ে প্রতারক চক্রদের দেয়া মোবাইল ব্যাংকিং নগদ (০১৬৪৫২১০১৩৩) এবং বিকাশ নাম্বার (০১৭১৭৭৩২১১৩) এ দুই নম্বরে খরচসহ ৫১ হাজার টাকা দেয়ার কথা জানান। বাবা ছেলে আমিরের কথামতো ওই দুই নম্বরে মোট ৫১ হাজার টাকা পাঠান।

প্রতারক চক্রের সদস্যরা মোবাইলে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে তাকে রাস্তায় ছেড়ে দিতে গেলে আমির চাঁদ রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে লোকজন দেখে চিৎকার দেয়। তারা চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারীদের ধাওয়া করে ৩ জনকে আটক করে। এ সময় আরো ৩ জন পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আটক ৩ জনকে স্থানীয় মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে যায়। পরে ক্ষেতলাল থানায় জানালে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে যান।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, প্রতারণা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণের অর্থ আদায়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App