×

আন্তর্জাতিক

শ্রদ্ধার ফুলে বিদায় কালজয়ী সমরেশ মজুমদারকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম

শ্রদ্ধার ফুলে বিদায় কালজয়ী সমরেশ মজুমদারকে
শ্রদ্ধার ফুলে বিদায় কালজয়ী সমরেশ মজুমদারকে

শেষকৃত্যের আগমুহূর্তে সমরেশ মজুমদারের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যমহল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

কারো হাতে ছিল ফুলের তোড়া, কারো হাতে ফুলের মালা, কারো হাতে ছিল শুধুই গোলাপ। অনেকে শূন্য হাতেও নীরব চোখের জলে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কালজয়ী সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারকে।

পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কলকাতার মহা নাগরিক মেয়র ও পশ্চিমবঙ্গের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বোস ও সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন, ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব, কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাই-কমিশনার ও সাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পুত্র আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব প্রেম রঞ্জন সেন, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল, বামফ্রন্ট সেক্রেটারি বিমান বসু, পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।

সোমবার (৮ মে) বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। এরপর তার মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল পৌনে নয়টায় হাসপাতাল থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে এ সাহিত্যিকের মরদেহ কলকাতার শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে মরদেহ আনা হলে সেখানে শ্রদ্ধা জানান সমরেশ ভক্ত, শুভার্থী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং প্রিয়জনেরা। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিমতলা মহাশ্মশানে নেয়ার পর তার শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।

সমরেশ মজুমদারকে শ্রদ্ধা জানানতে আসা সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, তার মনুষ্যত্ববোধ, তার জীবনবোধ, তার মূল্যবোধ সে শুধু তার জীবদ্দশায় নয়, তার মৃত্যুতেও ধরে রাখলেন। আজকে যেখানে কেনাবেচা চলছে। লেখক জগৎ যখন অর্থের বিনিময়ে মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছেন। সেখানে তার শেষ ইচ্ছা এবং তার পরিবারের সেই মূল্যবোধের জন্য ধন্যবাদ জানানো, আমরা কৃতজ্ঞ।

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বোস বলেন, তিনি তার জীবনটাকে বাংলা সাহিত্যের জন্য উদযাপন করেছেন। মৃত্যুতেও সেই বিশ্বাস তিনি ধরে রাখলেন। তার লেখাতে সব সময় বাস্তব প্রেক্ষাপটে ছবি ভেসে উঠেছে। কারণ তিনি কারো ফরমায়েশ বা তাবেদারি করেননি। যেভাবে সমাজকে দেখেছেন, সময়টাকে দেখেছিলেন তাই ব্যক্ত করেছিলেন। তাই একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বিদায় নিলেন। চিরকাল বাম ঘরানার মানুষ ছিলেন সমরেশ। কোনোদিন বিলাসিতা পছন্দ করতেন না। তাই তার শেষ বিদায়বেলায়ও কোনো আড়ম্বর না হোক এটাই ছিল তার শেষ ইচ্ছে। সে কারণে রাজ্য সরকারের গান স্যালুট বা সরকারি রীতি-আচার ছুতে পেল না তার নশ্বর শরীর। একজন সাধারণ বাঙালি হিসেবেই বিদায় নিলেন বাংলার মাটি থেকে। সরকারি উদাসীনতা থাকলেও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেল সাহিত্যপ্রেমী বাঙালির। তবে তারাও আজ সংখ্যালঘু। তাই ভিড় দেখা গেল না সমরেশের বিদায়বেলা। বুদ্ধিজীবী, বিদ্বজনরা নেই। তাই বাংলাদেশ মিডিয়া ছাড়া সাহিত্যিকের বিদায়বেলা দেখা মিলল না কলকাতার মিডিয়ার। তবে দু-একটা সংবাদমাধ্যমের ব্যতিক্রমী চরিত্র দেখা গেল।

উল্লেখ্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাপোলোয় সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন সমরেশ মজুমদার। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ভর্তি করানো হয়েছিল সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারজয়ী সাহিত্যিককে। এরপর শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে থাকে। আগে থেকেই সমরেশের সিওপিডির সমস্যা ছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App